
কুড়িগ্রামের উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার বেদিতে জুতা পায়ে উঠে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। প্রতিবাদে তার ওপর হামলা করেছেন বিক্ষুব্ধরা। এঘটনায় আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন অধ্যক্ষ আবু তাহের।
জানা যায়, আজ ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যান অধ্যক্ষ আবু তাহের। এসময় তিনি জুতা পায়েই শহীদ মিনারে উঠেন। পরে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে অধ্যক্ষের শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ জনতা দুপুরে অধ্যক্ষের উপর হামলা করে ও তার অফিস কক্ষে ভাংচুর চালায়। হামলায় আহত অধ্যক্ষ এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলাকারীরা অফিস অধ্যক্ষের কক্ষে রক্ষিত সিসি ক্যামেরার মনিটর ও পিসি নিয়ে যান। পরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকগণ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, আহত অবস্থায় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। তার শরীরে জখমের চিহ্ন হয়েছে। অধ্যক্ষের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে বিকালে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ওই অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান বলেন, বিজয়ের এই দিনে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে শহীদদের অপমান করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অধ্যক্ষ শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে ওঠার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারপিট করার কথা শুনেছি। এ ঘটনায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কলেজের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল কাদের বলেন, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠা দুঃখজনক। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।
/এসএস