
রাজধানীর ফকিরাপুলের কোমরগলির একটি পাঁচতলা বাড়ির চিলেকোঠা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহত শহীদ আহমেদ ওই ভবনের কেয়ারটেকার। ঘটনাস্থল থেকে চিরকুট উদ্ধার। ঘটনাস্থলে আছে ক্রাইম সিন ইউনিট।
ঘটনাস্থল বাড়ির নম্বর ৫৫। ভবনটিতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাঁচতলা বাড়ির চিলেকোঠায় ছোট্ট একটি রুম আছে। সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন শহিদ আহমেদ। ওই রুমেই পানির ড্রামে ভর্তি স্ত্রীর মৃতদেহ ছিলো। অপরদিকে শহিদ আহমেদের মৃতদেহ ছিলো ঝুলন্ত অবস্থায়।
তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন শহীদ। ২/৩ দিন আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জামিল হাসান জানান, পাঁচতলা ওই ভবনের চিলেকোঠায় একটি ছোট্ট রুম আছে। ওই রুম থেকেই শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে ভবনটির কেয়ারটেকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ঘরের পাশে একটি নীল ড্রাম থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারী তার স্ত্রী কি-না সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর নাম মর্জিনা বলে জানা গেছে।
উপ-কমিশনার জামিল হাসান বলেন, এই ভবনের মালিক যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ভবনের পুরোটা জুড়েই প্রেসের কারখানা। শহিদুল কারখানাগুলো থেকে ভাড়া তুলে যুক্তরাষ্ট্রে তার মালিককে পাঠাতেন। বুধবার রাতে নিচের লোকজন পানি না পাওয়ায় একটি প্রেসের কর্মচারীরা ছাদে যান। গেট খুলেই শহিদুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল ইসলাম সৌরভ বলেন, কর্মচারীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শহিদুলের রুমের পাশেই একটি ড্রাম রাখা ছিল। নীল রঙের ড্রামটি সিমেন্ট দিয়ে প্রলেপ দিয়ে বন্ধ করা ছিল। তবে গ্যাসের কারণে এটি ফেটে এক নারীর কাপড় দেখা যাচ্ছিল। পরে পুলিশ সেটি খুলে ভেতর থেকে নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। কয়েকদিন ড্রামে থাকায় ওই নারীর লাশে পচন ধরেছে।
ঘটনার খবর শুনে সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
/এসএস