মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তাহীনতা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনার কারণে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে মানুষ কথা বলতেও এখন সতর্ক। নিজেই নিজের মুখ বন্ধ করে রাখছে।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি জ্যামিতিক হারে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতন। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে এসব কথা বলেন মানবাধিকার কর্মীরা। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতে, সারাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও মনে করে, দেশে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়নি। সবকিছু ঠিক থাকলে তো আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেরও দরকার নাই।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২০১৯ সালের এই ১১ মাসে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬২ জনের।
২০১৮ সালে ৪৬৬ জন এবং ২০১৭ সালে ১৬২ জন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। এছাড়াও সীমান্ত হত্যা, সাংবাদিক নির্যাতন, নারী ও শিশু নির্যাতন ও হত্যার বিষয়ে সংগঠনটি বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের মধ্যে একটা মিশ্র ধারণা আছে। কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অভূতপূর্ব সাফল্য হয়েছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, উন্নয়ন এসব মানুষের অধিকার। এসব ক্ষেত্রে সাফল্য অনেক। তবে সেই সঙ্গে মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে।
আই.এ/