কাশ্মির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, ইন্টারনেট, টেলিফোন চালু ও রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। এই মর্মে শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে।

৬ ডিসেম্বর রিপাবলিকান দলের স্টিভ ওয়াটকিন্সের সঙ্গে মিলে ওই ‘বাইপার্টিসান রেজোলিউশন’টি পেশ করেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রমীলা জয়পাল।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক প্রমীলার ওই প্রস্তাবে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করে বলা হয়েছে, অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মিরে আটক সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক।

সেই সঙ্গে ইন্টারনেট-সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে। কাশ্মিরের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।

ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান— মার্কিন কংগ্রেসের দুই বিরোধী দলের সদস্যরাই গত কয়েক মাসে কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অক্টোবরে ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ক্রিস ভ্যান হলেন অব মেরিল্যান্ড জানিয়েছিলেন, আমেরিকার একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপত্যকায় যেতে গিয়ে ভারত সরকারের বাধার মুখে পড়েন তিনি।

এর পর কাশ্মীর প্রসঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসে দু’বার আলোচনা হয়। ওই প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রকে মুখপাত্র রবীশ কুমার দাবি করেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ জীবন রক্ষায়, সেখানকার শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখতে সম্প্রতি যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কয়েক জন সদস্য যে ভাবে এর অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক।’’

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর পর থেকেই উপত্যকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি শুরু করে।

কারফিউ জারি করা, তিন জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ বহু রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা থেকে শুরু করে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় উপত্যকার স্কুল-কলেজ-দোকানপাট-অফিস। এর পর পোস্টপেইড মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন চালু করা হলেও এখনও বন্ধ প্রায় ২০ লক্ষ প্রিপেইড মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা।

ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস