ইজতেমার মাঠ থেকে আব্দুল্লাহ আল মুবিন: ৫৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রায় ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশটির দেশের ধর্ম প্রাণ মানুষসহ বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এতে অংশ গ্রহণ করেন। সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত হজের পর এই বিশ্ব ইজতেমায মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় জমায়েত।
২০২০ সালের ইজতেমা শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে। বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মাঠ সাজানোর ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিক্ষক-ছাত্র, পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ দূরদূরান্ত থেকে কাজে অংশ নিয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনাশ্রমে শত শত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করেন। তবে প্রতিবারের মতো এবারও স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি নজরে পড়ার মতো।
এসব স্বেচ্ছাসেবীরা বাস-ট্রাক কিংবা পিকাপে করে এসে বিকেলে চলে যান।
আজ শুক্রবার ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস, মিশকাতসহ অন্যান্য জামাতের ৩০০ ছাত্র স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ অংশ নিয়েছেন। মাদরাসার শিক্ষকরা কাজের সার্বিক দেখাশোনা করেছেন।
পাবলিক ভয়েসের প্রতিবেদককে মাদরাসার ছাত্ররা জানান, বিশ্ব ইজতেমায় আগত মেহমানদের খেদমত করতে পেরে তারা আলাদা আনন্দবোধ করছেন।
রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে মাঠ প্রস্তুতির কাজে এসেছিলেন মুহাম্মদ আবদুর রহমান। এত দূর থেকে এসে কাজ করার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি হাসি দিয়ে জানান, ‘আসলে এটা আমাদের অনেকটা কালচারের মতই হয়ে গেছে। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখছি এখানে বিভিন্ন মাদরাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্ররা এসে কাজ করে। সওয়াবের হিসাব তো আছেই। এছাড়াও এখানে কাজ করার অন্যরকম এক আনন্দ রয়েছে। এখানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হবে। এদের জন্য একটু কাজ করতে পারা তো নিজের উপকার ছাড়া কিছুই নয়।’
মাঠে নির্মাণ কাজে অংশ নেওয়া টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. শাহ আলম বলেন, আমি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে ইজতেমা মাঠে কাজ করে আসছি। এখানে কাজ করতে আমার খুব ভাল লাগে এবং মনে আনন্দ পাই। আমি যত দিন বাঁচবো ততো দিন আল্লাহর জন্য ইজতেমার ময়দানে কাজ করে যাবো ‘ ইজতেমাকে ঘিরে সাধারণ মুসল্লীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহ দেখা গেছে।
আই.এ/