
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। দুদকের মামলায় দণ্ডবিধির ১০৯, ৪০৯ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ আনা হয়েছে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে।
আলোচিত মামলাটির তদন্তে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়ে গতকাল অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় কমিশন। এখন সেটি আদালতে জমা দেয়া হবে। এরপর অভিযোগ গঠন হলে শুরু হবে বিচারকাজ।
মামলায় ধারা ৪০৯-এ বলা আছে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অথবা ব্যাংকার, ব্যবসায়ী বা প্রতিনিধি কর্তৃক অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের অপরাধ।এ অপরাধটি প্রমান হলে যাবজ্জীবন সাজা অথবা দশ বছর মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম সাজা হতে পারে।
ধারা ৪২০-এ বলা আছে প্রতারণা ও সম্পত্তি অর্পণ করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করা। এ ধারায় সর্বোচ্চ সাজার কথা বলা হয়েছে সাত বছরের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড। আর ১০৯ ধারায় অপরাধে সহায়তা করা প্রমাণিত হলে অপরাধ সংঘটনকারীর অনুরুপ সাজা ভোগ করতে হবে।
চলতি বছরের ১০ জুলাই দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলাটি করা হয়। দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২), (৩) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
তৎক্ষালীন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) ঋণ জালিয়াতি এবং চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছাড়াও আরও ১০জন এ মামলার আসামি। এদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকেরই রয়েছেন ৬ জন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ব্যবসায়ী পরিচয়ে দুই ব্যক্তির নেয়া ঋণের চার কোটি টাকা বিচারপতি সিনহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকার অভিযোগ ওঠে। এরপর অভিযোগের তদন্তে নামে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর তার এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
আই.এ/