সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। শুনানিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার জামিন শুনানিতে গত ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে শুনানির জন্য ৫ ডিসেম্বর (আজ) দিন ধার্য করেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বরে রাখা হয়েছে মামলাটি।
আলোচিত যে দুটি মামলায় বিএনপি নেত্রী কারাবন্দি হয়েছেন সেগুলো হলো ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ এবং ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলা। পৃথক দুটি মামলায় তিনি ১০ বছর ও ৭ বছর করে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাভোগ করছেন। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ৩৫টি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
এরমধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনার দাবিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ১৭ নভেম্বর এ আবেদন উপস্থাপনের পর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান শুনানির জন্য ২৫ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়। এদিন পাঁচ বিচার বিচারপতি শুনানিতে অংশ নেন। পরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ অবস্থার প্রতিবেদন চেয়ে আজ ৫ ডিসেম্বর রায় শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
আলোচিত এই মামলায় জামিন পেলে একই আদেশ বিবেচনায় অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাও জামিন পাবেন বেগম জিয়া। ফলে চলমান সবগুলো মামলায় তার জামিন হবে। সেক্ষেত্রে নতুন কোনো মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা বা আটকাদেশ না হলে জামিনে মুক্ত হতে আইনি কোনো বাধা থাকবে না তার।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের চোখ এখন খালেদা জিয়ার জামিনে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সারাদেশের মানুষের চোখ আদালতের দিকে। সর্বশেষ মানবিক দৃষ্টিকোণে থেকে জামিন আবেদনে আদালত সাড়া দেয় কিনা। চূড়ান্ত রায়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারকের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ কী রায় দেন সেদিকেই দৃষ্টি এখন গণমাধ্যমকর্মীদেরও।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় পিছিয়ে যেতে পারে শুনানি।
গতকাল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা পড়েনি। দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানতে পর্যালোচনা সভা করেছেন। কিন্তু মেডিকেল বোর্ড এখনও তার কাছে প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে না। প্রতিবেদন দাখিলে আরো কয়েকদিন সময় লাগতে পারে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে সমকাল জানায়, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সুনির্দিষ্টভাবে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। এ কারণে তারা আদালতে সময় প্রার্থনা করবেন বলে জানা গেছে।
এক্ষেত্রে আদালত যদি সময় মঞ্জুর করেন তবে পিছিয়ে যাবে শুনানি। অপেক্ষার প্রহর বাড়বে বিএনপি নেত্রী ও দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের।
তবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে বারোটার দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের অন্যতম একজন চিকিৎসকের বরাতে বাংলা ট্রিবিউন এ তথ্য জানায়। মেডিকেল বোর্ডের ওই সদস্য বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ তবে ওই চিকিৎসক আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি বলে জানায় বাংলা ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে- বৃহস্পতিবার আপিল কোর্টের শুনানিতে এ প্রতিবেদন জমা দেবেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গ, গত বছরের (২০১৮) ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সাথে প্রত্যেক আসামীকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (চলমান জামিন আবেদন) মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে সাজা ঘোষণা করেন রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আলোচিত দুই মামলার প্রথমটি ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এতিমদের সহায়তা করার জন্য কুয়েতের আমীর ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা পাঠান। যা ১৯৯১ সালের ৯ জুন সৌদি আরবের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
১৯৯৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সেই টাকা বিএনপি নেত্রী আইন বহির্ভূতভাবে অস্তিত্বহীন ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’কে দান করেন। যার সেটেলার ট্রাস্টি করেন নিজের দুই পুত্র তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফত রহমানকে (কোকো)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারি এতিম তহবিলের আর্থিক দায়িত্ববান বা জিম্মাদার হয়ে বা তহবিল পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত হয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধ।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার কাছে একটা অনুদান এসেছিল। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে টাকাটা জমা হয়। এতিমের স্বার্থে ওই টাকা ব্যয় করার কথা ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা আছে সে ক্ষমতা অনুসারে তিনি বাংলাদেশের সকল তহবিল সংরক্ষণ করবেন। কিন্তু ১৯৯৩ সালে তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট নামে একটা ট্রাস্ট গঠন করেন। যার ঠিকানা ছিল তার বাসভবন। ওই তহবিলের টাকা দুই ভাগ করে একভাগ তার দুই পূত্রকে সেটেলার ট্রাস্টি বানিয়ে সেখানে দিয়ে দেন।
দুদক-এর উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এই মামলার অপর আসামীরা হলেন, বেগমা জিয়ার জৈষ্ঠ ছেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক রয়েছেন), মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। আসামীদের প্রত্যেকের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়।
দুদকের আইনজীবি বলেন, একটা আইন আছে যে, ট্রাস্টে দশজন এতিম থাকতে হবে। সমাজকল্যাণ দপ্তরের নিবন্ধন করতে হবে। বেগম জিয়া সেগুলোর কোনোকিছুই করেননি। সুতরাং আমরা বলেছি এটা রাষ্ট্রের টাকা, এতিমের স্বার্থে এসেছিল। এতিমের স্বার্থে ব্যয় না করে বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন এবং ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে তিনি এই টাকাগুলি আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের আইনজীবির অভিযোগের জবাবে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী আবদুর রেজাক খান গণমাধ্যমকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কোনোরকম হস্তক্ষেপ এটার মধ্যে নেই। তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো ট্রাস্টি নন, সেটেলার নন, কোনো বেনিফিসিয়ারিও নন। মোটামুটি যে টাকা এসেছিল দুই কোটি দশ লাখ টাকা সেটা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে কয়েকগুন বেশি হয়েছে। এই টাকা খরচ হয়নি। কোনো আত্মসাৎ হয়নি।
খালেদার আইনজীবিদের দাবি, এই ঘটনায় খালেদা জিয়া জড়িত নন, এবং সেই টাকাও আত্মসাৎ করা হয়নি, কারণ এসব টাকা এখনো ব্যাংকের হিসাবেই জমা রয়েছে।
প্রায় ১০ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সাথে প্রত্যেক আসামীকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আলোচিত দুটি মামলার দ্বিতীয়টি হলো ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলা। ২০১০ সাল থেকে দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে দুদক ২০১১ সালের আগস্টে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পারে যে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। যেটির ট্রাস্টি ছিল খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। ট্রাস্টের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা সংগ্রহ করা হলেও তারা সেটি দাতব্য কাজে খরচ করেননি।
এই ট্রাস্টে প্রায় আট কোটি টাকা জমা হয়েছিল বলে দুদকের দাবি। তবে এর মধ্যে বিএনপির দলীয় ফান্ড থেকে যে টাকা এসেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে সেটা বাদ দেয়া হয়। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, অবশিষ্ট ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি।
২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে এর চার্জশীট দাখিল হয়। এরপর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করা হয়।
এই মামলার অপর আসামীরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিস চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না।
এই মামলায় প্রায় ৮ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে একই বছরের ২৯ অক্টোবর ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে সাজা ঘোষণা করেন রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।
প্রতিবেদন তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নয়াদিগন্ত, সমকাল, যুগান্তর, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন বিবিসি বাংলা, ডয়চে ভেলে ও উইকিপিডিয়া।
/এসএস