কাওছার আহমেদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘরের মধ্যে ঘর, ১৪ জন দিয়ে কমিটি গঠন এবং পকেট কমিটি করা চলবে না। এসব বন্ধ করুন। দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, লুটেরা ও সন্ত্রাসীরা সাবধান। দলে বসন্তের কোকিল লাগবে না। বসন্তের কোকিলদের নিয়ে দল ভারী করবেন না। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বড় বড় স্লোগান, পোস্টার আর নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।

সোমবার (২ ডিসেম্বর)  শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাঁচাতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে বার বার ক্ষমতায় আনতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলন ঘিরে বড় বড় গেট, বড় বড় পোস্টার। নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে। সাজসজ্জা করার এত টাকা কোথায় পেলেন? ব্যানার-ফেস্টুন আর পোস্টার না ছাপিয়ে এসব টাকা অসুস্থ, অসচ্ছল ও গরিব মানুষকে দিন। এসব টাকায় অসহায় মানুষের উপকার হলে তখন আপনি নেতা হবেন। অন্যথায় ব্যানার-ফেস্টুন আর পোস্টার দিয়ে নেতা হতে পারবেন না।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী শক্তিধর নেতা পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক পটুয়াখালীর কৃতি সন্তান এ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনুসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

আই.এ/