
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই রবিউল হুসাইনের শরীরে রক্ত তৈরি হচ্ছিল না। এ কারণেই তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। গত রাতে হঠাৎ ফুসফুসে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। পরে রবিউল হোসেনকে কার্ডিয়াক আইসিওতে নেয়া হলে মঙ্গলবার ভোর ৭.৫০মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএসএমএমইউ এর পরিচালক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। কবি রবিউল হোসেন ভাষাও সাহিত্যে অবদান রাখায় ২০১৮ সালে একুশে পদক পান। এর আগে ২০০৯ সালে কবিতার বাংলা একাডেমি পুরস্কারও পান তিনি।
১৯৪৩ সালের ৩১ জানুয়ারী ঝিনাইদহের শৈলকূপায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্কুল ও কলেজ জীবন শুরু করেছেন কুষ্টিয়ায়। আর বুয়েট থেকে করেছে স্নাতক ডিগ্রি। স্থপতি হওয়ার পাশাপাশি ষাটের দশক থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন৷ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা ছাড়াও ষাটের দশকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রবণ ছোট কাগজে লেখালেখি করতেন। কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও শিশুতোষ গোটা পঁচিশেক বইয়ের লেখক তিনি।
এর মধ্যে এইসব নীল অপমান, অপ্রয়োজনী প্রবন্ধ, কি আছে এই গভীর অন্ধকারে এসব তার উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থ। এছাড়া স্থাপত্যের ওপর ও বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন তিনি।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষক ও তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিপত্নীক ছিলেন। তার একমাত্র সন্তান রবিন হুসাইন।
আই.এ/