
করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে কোমরে লাথি মেরে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই আক্রমণের পেছনে তৃণমূল কর্মীদেরই দায়ি করছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণটি ‘বাংলায় গণতন্ত্রের অবসানের সুস্পষ্ট লক্ষণ।’ ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভ এক প্রতিবেদনে এখবর দিযেছে।
খবরে বলা হয়, করিমপুর ছিল তৃণমূলের দখলে। খড়গপুর বিজেপির এবং কালিয়াগঞ্জ কংগ্রেসের। ভোটকে কেন্দ্র করে এ জায়গাগুলোতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) যে তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ হল।
এ ঘটনায় তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ করে জানিয়েছে, জয়প্রকাশ মজুমদার নির্বাচনের পরিবেশ ‘খারাপ' করছিলেন। সেই কারণেই তাকে আক্রমণ করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন চেয়েছে।
অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জ আসনের একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তার স্ত্রীকে ভোট দিতে সাহায্য করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিধায়ক প্রমথ নাথ রায়ের মৃত্যুর পরে কালিয়াগঞ্জের আসনটি খালি পড়ে রয়েছে। এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচনে দুই বিধায়ক (তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং বিজেপির দিলীপ ঘোষ) সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে অন্য দু'টি আসনও খালি হয়ে যায়।
এই উপনির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। করিমপুর আসন থেকে বামেরা প্রার্থী দিয়েছে এবং কংগ্রেস অন্য দু'ই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
যদিও মাত্র তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ হলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এই উপনির্বাচনও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্রমশ প্রভাব বিস্তারকারী বিজেপির চাপের মুখেই রয়েছেন। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আর ১৮ মাস বাকি। এরই মধ্যে এই উপনির্বাচন সেই মূল নির্বাচনের ভাবগতিক বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
আই.এ/