ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে শিবির আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ইবি শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের ট্রেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরে জড়ো হয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করে। তাদের দাবী, ড. মাহবুব শিবির মতাদর্শী ছাত্রজীবনে তিনি শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, প্রক্টর থাকাকালীন সময়ে ২০১৭ সালের ১৪ আগষ্ট অধ্যাপক মাহবুবরের নেতৃত্বে শিবিরের দূর্গ খ্যাত ইবির হলগুলো শিবির মুক্ত হয়েছিলো। বিনা রক্তপাতে হলসমূহ শিবিরমুক্ত করে হলগুলোতে হলবডি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন তিনি।
এছাড়া আরো অনেকে জানান, বঙ্গবন্ধু হলে প্রভোস্টের দায়িত্ব নেয়ার পরে ২০০৯ সালে বিভিন্ন মহলের প্রবল বাধার মুখে, ইসলামী ছাত্রশিবির লেখা মুছে হল গেট সম্মুখে ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং বাংলাদেশের ম্যাপ’ স্থাপন করেছিলেন তিনি।
এদিকে তাকে শিবির আখ্যা দেয়ায় ক্যাম্পাসে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অধ্যাপক মাহবুবর রহমান শাপলা ফোরামের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রগতিশীলতা চর্চা আরো বেগবান হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তার তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসর্গ করে জ্যোতির্মান স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়। এরকম একজন আপাদম্তক প্রগতিশীল শিক্ষককে শিবির আখ্যা দেয়াকে প্রগতিশীলতা চর্চার বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত হিসেবে দেখছেন তারা।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন সময় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ড. মাহবুব নেতৃত্ব দেওয়ায় মাদকাসক্তরা প্রায় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে আসছে, তবে তার সততার কাছে বরাবরই পরাজিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ড. মাহবুবর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দুঃসাহসিক ভূমিকা ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির বিরুদ্ধে কুঠারাঘাতের জন্য বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন।
/এসএস