
আজ রোববার ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিজ জন্মভিটা টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
রাজধানী ঢাকাসহ টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশে সৃষ্টিতে মাওলানা ভাসানীর অসামন্য অবদান রয়েছে। তিনিই সর্বপ্রথম পাকিস্তানকে গুডবাই জানিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইঙ্গিত দেন। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের ‘ওয়ালাকুমুসসালাম’ বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার এক ঐতিহাসিক ডাক দেন।
বিংশশতকের ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে তিনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি ‘মজলুম জননেতা’ হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
মাওলানা ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী শারাফত আলী। হাজী শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর পরিবারে ৪ টি সন্তানের জন্ম হয়। একটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে। মোঃ আব্দুল হামিদ খান সবার ছোট।
১৯২৬ সালে তিনি তার সহধর্মিণী আলেমা খাতুনকে নিয়ে আসাম গমন করেন এবং আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় ‘ভাসানীর মাওলানা’। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়।
টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় প্রশাসন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দেশের অন্যান্য স্থানেও সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হবে।
/এসএস