মতামত : 'টার্নিং পয়েন্টে আওয়ামী লীগ' শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে গতকাল প্রকাশিত প্রভাষ আমিন স্যারের লেখাটা মনযোগ দিয়ে পড়লাম। (কেন পড়লাম বা কেনই বা আমি এই লেখাটা লিখছি তা ৩ নম্বার পয়েন্টে পরিস্কার করেছি) মনে হলো তিনি একদম সঠিক বিষয়টা তুলে এনেছেন। আওয়ামী লীগের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অনুপ্রবেশকারীরা! ওবায়দুল কাদের সাহেবের ভাষায় যাদেরকে বলে কাউয়া। এই অনুপ্রবেশকারীরাই হলো কোন দলের মূল ধ্বংশকারীী। খুব ধীরে ধীরে এদের কারণে যে কোন দল ধ্বংশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। তবে এরা যে কোন দলে প্রবেশ করে কেবল মাত্র নিজ স্বার্থের জন্য।
কারও চাকরি চাই, কারও অনৈতিক সুবিধা চাই, কারও প্রভাব চাই বা এমন কিছু স্বার্থের জন্যই এরা দলে প্রবেশ করে থাকে। এবং অতি-ভক্তি দেখিয়ে সেই দলের ভাবমূর্তি একদম তলানীতে নিয়ে ঠেকিয়ে দেয়। এমনকি এই সামান্য স্বার্থের জন্য এরা রাষ্ট্র, ধর্ম, মানবতা কোন কিছুরই বিপক্ষে যেতে দ্বিধা করে না। এই অনুপ্রেবেশকারীরা দলকে ব্যবহার করে কেবলই ঢাল হিসেবে। বলতে গেলে আওয়ামী লীগ এখন এ সমস্যাটার মধ্যেই প্রবল আকারে আছে।
১. আওয়ামী লীগকে এখন অনেকটাই অনুপ্রবেশকারীদের দলও বলা যায়। রক্তে-মাংশে, পরিবারে, আত্মীয়-স্বজনদের সবাই বিএনপি জামায়াত সমর্থকরা অনেকেই 'সুখপাখি' আকারে এখন খুব আওয়ামী লীগ হয়েছে! কারণ আওয়ামী লীগে এখন প্রচুর সুখ! চাকরি হচ্ছে, টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আরও কর কি! এজন্যই ওই অনুপ্রবেশকারীদের আওয়ামী সমর্থনও প্রকৃত আওয়ামী লীগের থেকে বেশি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তা এতটাই আগ বাড়ানো থাকে যে তারা মূলত পরিকল্পনা করেই অতি-ভক্তির নামে আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের দুরত্ব তৈরি করে দেয় বলে মনে হয়। এরাই অতি-উৎসাহী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টর্চার সেল করে, শিবির পিটানোর নাম করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খুন পর্যন্ত করে ফেলে। বুয়েটের আলোচিত আবরার হত্যার খুনিদের ভেতর ঘাটলে আপনি দেখবেন তাদের বেশির ভাগই হলো অতি-উৎসাহী আওয়ামী সমর্থক। কেহই আওয়ামী লীগকে ধারণ করে বা আওয়ামী রাজনীতি শিখে অথবা রাজনৈতিক ত্যাগ স্বীকার করে ছাত্রলীগে আসেনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রভাবের জন্য বা অনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য আওয়ামীলীগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে শত শত ছাত্র/ছাত্রীদের উপর নিপিড়ন চালিয়েছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রতি ভয়ানক ঘৃণা তৈরি করে দিয়েছে। কেবল বুয়েট না সব জায়গায়ই এই একই দশা।
এরা কতটা খতরনাক তা আপনি আবরার হত্যার ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই পেয়ে যাবেন।
২. এই প্যারায় প্রভাষ আমিনের লেখার কিছু অংশ কোড করি, তাহলে আমার লেখাটা পূর্ণতা পাবে আরও! তিনি লেখেছেন;
.... আমার বিবেচনায় আওয়ামী লীগ এখন একটি ভয়াবহ সংকটকাল পার করছে। সংকটটা ’৭৫-এর পরের চেয়েও ভয়াবহ মনে হয় কখনও কখনও। কারণ, তখন আওয়ামী লীগকে যারা বাঁচিয়েছিলেন, তারা এখন দলে কোণঠাসা। ‘ডিজিটাল আওয়ামী লীগে’ এখন মাটি কামড়ে পড়ে থাকা ‘আনস্মার্ট’ নেতাকর্মীদের কদর নেই। দলে এখন যেই ‘স্মার্ট’ নেতাদের ভিড়, বিপদের দিনে তাদের পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সে কারণেই এবারের সংকটকে আমার কাছে সবচেয়ে ভয়াবহ মনে হচ্ছে। চরম নেতিবাচক যেমন খারাপ, চরম ইতিবাচকও ভালো নয়। না খেলে যেমন মানুষ বাঁচে না, বেশি খেলেও বদহজম হয়। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ যেমন ঘোর অন্ধকারে পড়েছিল, এখন আবার টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের অতি আলোয় চোখ ঝলসে যাওয়ার দশা। ঝলমলে সেই আলোর নিচেই জমা হয়েছে গভীরতর অন্ধকার। টানা ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেতাদের জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, মাস্তানির এন্তার অভিযোগ। কথা বললেই বোঝা যায়, জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সামান্যই। শুধু যে স্বীকৃত সহযোগী সংগঠনের নেতারা দলকে বিপদে ফেলছেন তা-ই নয়; নামের আগে ‘বঙ্গবন্ধু’, শেষে ‘লীগ’ লাগিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে আরও বহু সংগঠন। তাদের সবার ‘ধান্দাবাজিতে’ অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এখন যতই অপকর্ম করুক, যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগার, সংগঠনের বিপদে তারা ঠিকই পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু সমস্যা হলো ক্ষমতার মধুর লোভে আসা নতুন ‘স্মার্ট নেতাদে’র নিয়ে, ওবায়দুল কাদের যাদের ‘হাইব্রিড’, ‘কাউয়া’ বলে ডাকেন। স্রোতের সঙ্গে অনেক সময় কচুরিপানা আসে। কিন্তু কচুরিপানা বেশি এলে স্রোত আটকে যায়।
পরগাছা কখনও কখনও খেয়ে ফেলে মূল গাছ, আগাছায় ঢেকে যায় মূল ফসল। আওয়ামী লীগে এখন প্রকৃত আওয়ামী লীগারের বড়ই অভাব। মাঠপর্যায়ে যাওয়ার দরকার নেই, আওয়ামী লীগের এমপিদের মধ্যে কয়জন প্রকৃত আওয়ামী লীগার, সেই হিসাব করলেই বুঝবেন সংকটের ধরনটা। আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীর কমতি নেই। ইউনিয়ন পর্যায়েও তাদের লোক আছে। সেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কেন সবার জন্য তার দ্বার খুলে দিলো, সেটাও একটা বিস্ময়ের। বিএনপি-জামায়াত তো বটেই, এমনকি আওয়ামী লীগের ধ্বংসের আকাঙ্ক্ষায় যাদের সৃষ্টি, সেই ফ্রিডম পার্টির নেতারাও এখন আওয়ামী লীগের সামনের সারিতে। পেছনে পড়ে থাকেন পোড় খাওয়া, মাটি কামড়ে পড়ে থাকা নেতারা।
৩. অনুপ্রেবেশকারীদের দৌরাত্ম কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটার অনলিস্ট জরিপ দিতে পারি আমিও। নিজেই ভার্সিটিতে থাকাকালীন সময় এমন কিছু মৌসুমী পাখির মত ছাত্রলীগ করা হাইব্রিড নেতাদের হাতে নিপিড়িত হয়েছি। কেবল আমি না এমন হাজারো ছাত্র পাওয়া যাবে যাদের নিপিড়ন করেছে ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়া হাইব্রিড নেতারা অথচ তারা প্রকৃত অর্থে আওয়ামী লীগের কেউ না। কিন্তু তাদের নিপিড়নের কারণে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা তৈরি হয়েছে। যে ঘৃণা নিয়েই তারা কেউ ভার্সিটি ছেড়েছে, কেউ দেশ ছেড়েছে। অথচ এই দায় আওয়ামী লীগের নেওয়ার কথা ছিলো না। কিন্তু তারা দক্ষ সংগঠক এর ভূমিকা না দেখাতে পারার কারণে এই দায় তাদের ঘাড়েই পড়েছে। তাদেরই নিতে হয়েছে।
★ ধরেন, আমার কোনদিন আওয়ামী লীগ করার সম্ভাবনা নেই বা আর একটু বাড়িয়ে বললে বাংলাদেশের দুটো রাজনৈতিক দল করার কোন সম্ভাবনা আমার নেই। এক নাম্বারে জামায়াত বা শিবির দুই নম্বারে আওয়ামী লীগ। সেজন্য আওয়ামী লীগ যদি আমাকে দেশে থাকতে না দেয় বা নির্যাতন করে অথবা বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে শিবিরও একই কাজ করে তবেও আমার কিছু করার নেই। এটাই আমার নীতি। তবে আমি আওয়ামী লীগ বা কোন দলের বিদ্ধেষী পর্যায়ে বিরোধী নই। যার যেটুকু ভালো সেটুকু সেজা ভাষায় বলতে পারি আবার যার যেটুকু খারাপ সেটুকু বুক ফুলিয়ে বলার সাহস রাখি। এসবে আমার কোন রাজনীতি চিন্তা নেই। আমি বরং দেশকে ভালোবাসতে চাই দেশের ইতিহাসের ভিত্তির উপর দাড়িয়ে ধর্মের উজ্জল আলোয় থেকে। কোন রাজনৈতিক দলের তৈরি করা ইতিহাস বিবেচনায় নিয়ে দেশকে কোন দলের চোখ দিয়ে ভালোবাসতে চাই না। তারপরও আওয়ামী লীগ নিয়ে বা তাদের ভালোমন্দ নিয়ে আমার মাথাব্যাথা কেন? এই প্রশ্ন আসতেই পারে। জবাবটা দেই!
৪. ...শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশ বা আরেকটু বড় করে বললে গোটা বিশ্বেই অন্যতম পুরনো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বয়সের সংখ্যার সঙ্গে দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিবেচনা করলে আওয়ামী লীগের নাম আরও সামনে চলে আসবে। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। তার মানে একটি ক্ষসতাসীন মুসলিম লীগ, আরেকটি আওয়ামের, মানে জনগণের মুসলিম লীগ। ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ করা হয়েছে। গত ৬০ বছরে দলটি অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েছে, অনেক ভাঙচুর দেখেছে নিজেরাও করেছে। প্রতিষ্ঠার ৮ বছরের মাথায় ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ ছেড়ে গঠন করেন ন্যাপ। আর কালে কালে প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন দলের প্রাণভোমরা। এরপর বাংলাদেশের অনেক ইতিহাস আবর্তিত হয়েছে এই দলকে ঘিরে। অসংখ্য খারাপের দায়ভার যেমন এই দলের উপর আছে তেমনি ভাবে দেশের জন্য অসংখ্য ভালো কাজের নজিরও তাদের আছে। সব বাদ দিয়েও বলতে হয়, তারা দীর্ঘ সময় এই দেশ শাসন করেছে। এমনকি এখনও তারা প্রাসঙ্গিক। যেভাবেই হোক তারা ক্ষমতায় আছে। অতএব তাদের নিয়ে বিশ্লেষণ করা এবং সমস্যাগুলো খুজে বের করা প্রতিটি সচেতন নাগরিকেরই দায়িত্ব। কারণ আওয়ামী লীগ এই দেশের সংগঠন। নিজেদের অদুরদর্শীতা বা এইসব অনুপ্রবেশকারীদের কারণে এই দল যদি ক্রাশ করে তাহলে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তারাও এই দেশেরই জনগণ। তাছাড়া সংবাদ মাধ্যমে ধারাবাহিক কাজ করি হিসেবে এসব অসংগতি নিয়ে লেখাটাও দায়িত্বের পর্যায়ে পড়ে।
৫. আওয়ামী লীগের যা করা উচিত :
★ হুট করে কেউ এসে প্রচুর পরিমানে লীগপ্রেম দেখালে তার ব্যাপারে জরুরী ইনকোয়ারি বসানো উচিত। বিশেষ করে অনলাইনে বা ফেসবুকে যারা নিজেদেরকে একদম সাচ্চা আওয়ামী লীগার প্রমান করতে গিয়ে কোন দল, মত, ধর্ম, মানুষ কাউকে আমলে নেয় না, গুরুত্ব দেয় না বা সরাসরি ফেসবুকে হুমকি-ধামকি দেয় এদের ব্যাপারে কড়াকড়ি ভাবে খোজ নেওয়া উচিত। আমি বিশ্বাস করি, এদের ব্যাপারে খোজ খবর নিলে বেশি ভাগই দেখা যাবে মৌসুমী পাখি। ডালে ডালে ঘুরে যারা মধু খেতে অভ্যস্থ। এদের ব্যাপারে সতর্ক থেকে তাদের কার্যক্রমে লাগাম টেনে রাখা অতি জরুরী।
★ রাজনীতির সাথে সাথে আওয়ামী লীগের কর্মীদের জন্য আদর্শ এবং ধর্ম চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করা উচিত। যার যার ধর্ম এমনকি সে নাস্তিক হলেও প্রকৃতভাবে তার বিশ্বাসকে সে যেন সঠিকভাবে পালন করে এবং নৈতিকতার জায়গাটি পরিস্কার রাখে সেদিকে দলীয়ভাবেই খেয়াল রাখা উচিত। পরধর্মকে কটাক্ষ করা, অন্য কোন দল বা গোষ্ঠির কর্মসূচি বা কার্যক্রম সম্পর্কে অগণতান্ত্রীক আচরণ করা এসব থেকে কর্মীদের অবশ্যই দুরে রাখা উচিত। সর্বপরী একটি আদর্শ চর্চার যেন মাধ্যম হয় এই সংগঠন সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত তাদের।
★ কর্মী পালনের নামে নিজেদের বিশেষ করে ছাত্রলীগের সকল অপরাধকে হালকা করে না দেখা। তাদের সকল অন্যায়ের বৈধতা দিতে গিয়ে মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হুমড়ি খেয়ে না পড়া বরং স্টুডেন্টসদেরকে ছাত্র/ছাত্রীর মতই শাসনে রাখা। দলীয় পরিচয় বহন করে শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা। বিশেষ করে ছাত্র/ছাত্রীদেরকে একটি কঠোর চেইন অব কমান্ডের মধ্যে রাখা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরী নয়ত যেসব কর্মকান্ড বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে করে যাচ্ছে তাতে তাদের আসলে রেপুটেশনের সামান্য অংশও বাকি থাকবে না।
পরিশেষে, ইতাহাসে নন্দিত হতে চাইলে আওয়ামী লীগের এখন উচিত হবে দেশে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের যে গুমোট পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেটা থেকে দেশকে উদ্ধার করে ভারতীয় আধিপত্যবাদসহ সাম্রাজ্যবাদের যে কোন লালচক্ষুকে মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশের সকল মত সকল পথের মানুষের সাথে সহাবস্থান তৈরি করা। এবং এজন্য সবার আগে জরুরী হলো অতি আওয়ামী সমর্থনের নামে আওয়ামী পোশাক পড়ে যারা সবার প্রতি খড়গহস্ত হয়ে থাকতে চায় ওইসব অনুপ্রবেশকারী মৌসুমী পাখিদের নিয়ন্ত্রণে করা। নয়ত অদুর ভবিষ্যতে এদেশে বৃষ্টির মত সমস্যা আবির্ভূত হতে থাকবে যা মোকাবেলার ক্ষমতা কারোরই থাকবে না বরং ওই সমস্যাগুলোর সুযোগ নিয়ে রাত পোহানোর ভোর আলোতে দেখা যাবে লাল-সবুজের এই পতাকায় ভারতীয় আধিপত্যবাদের নখরদন্ত বসে আছে! বিশ্রিঙ্খলার অন্ধকারের আড়ালে তারা এ দেশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, পাবলিক ভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকম