
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দীর্ঘ সাত বছর পর। রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুখরিত হয়ে উঠেছে সম্মেলনে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের স্লোগানে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন কাজ শুরু হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করা হয়। কৃষক লীগের নেতারা বলছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে সোনার বাংলা গড়তে যে নেতা কাজ করবেন, আগামী দিনে আমরা সেই ধরনের নেতৃত্ব চাই। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী এমন কোনও নেতাকে আমরা নেতৃত্বে চাই না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করি । সম্মেলনে আগত অংশগ্রহণকারীরাকৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল সালাম প্রমাণিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এমন নেতৃত্ব আমরা কৃষক লীগে চাই। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী এমন কাউকে আমরা সংগঠনের নেতৃত্বে চাই না।
কৃষক লীগের নেতারা জানান, সম্মেলনে সাত হাজার কাউন্সিলর ও ৯ হাজার ডেলিগেট যোগ দেবেন। থাকবেন দু’জন বিদেশি অতিথিও। সম্মেলনের লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে।
সম্মেলন ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কৃষক লীগের সম্মেলন মঞ্চ সাজানো হয়েছে প্রান্তিক কৃষকের ঘরের আদলে। সম্মেলন মঞ্চে শোভা পাচ্ছে দুই প্রান্তিক কৃষকের প্রতিকৃতি। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য লাউ, আলু, পেয়ারা নিয়ে বসে আছেন।
চট্টগ্রাম থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা কৃষক লীগ নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থে কাজ করবে কৃষক লীগে এমন নেতা চাই আমরা। কমিটি বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে এমন নেতা দরকার নেই। প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার আদায় নিয়ে কৃষক লীগের আন্দোলন করার কথা থাকলেও গত এক দশকে আমরা এমন কোনও কিছু দেখিনি।’
প্রসঙ্গত, দেশে কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। কৃষক লীগের বর্তমান সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপত্বিতে সম্মেলনে উপস্থিত আছেন আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর মতিয়া চৌধুরী, ড.আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস