
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণ দাবিতে চলমান অবরোধে টানা ১০ দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বাসভবন অবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। আজ সন্ধ্যা থেকে ভিসির বসভবন অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
এসময় জাবি ভিসি বাসাতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তার বাসভবন অবরুদ্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক রায়হান রাইন।
গত ২৪ অক্টোবর থেকে সোমবার পর্যন্ত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা টানা ১০ দিনের মতো নতুন ও পুরনো দুইটি প্রশাসনিক ভবনই অবরোধ করে রেখেছে। ফলে এই ১০ দিন ভিসি, দুই প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীই প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।
কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে একাডেমিক কার্যক্রম অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যদিকে নতুন করে অবরোধের আওতায় এসেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস। এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জটিলতা ও স্থবিরতা তৈরি হচ্ছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য রোববার রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস ছাড়া উপাচার্যের অপসারণে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি না পাওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার দুপুরে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ সংবাদ সম্মেলন করে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’।
এ ছাড়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের ঘোষিত কর্মসূচির অংশহিসেবে সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় অবরুদ্ধ ছিল। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থীর জরুরি ভিত্তিতে সনদপত্র উঠানোর জন্য শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দুপুরে তালা খুলে দিয়েছি।
দুঃখজনকভাবে দেখলাম আমরা তালা খুলে দেয়ার পরই প্রশাসন তাদের তালা মেরে দিয়ে বলল এখান থেকে সনদপত্র উঠানো যাবে না। এখানে স্পষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের এরকম ন্যক্কারজনক কাজের নিন্দা জানাই।’
আই.এ/