ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রথম আলোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় নাইমুল আবরার রাহাত (১৫)।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে। কাদের গাফিলতি ছিল, কেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, একজন ছাত্রের মৃত্যুর পরও কেন অনুষ্ঠান চালিয়ে নেওয়া হলো, সে বিষয়গুলো নিশ্চয় তদন্তে উঠে আসবে। সোমবার (৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে তিনি জানান।
দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাইমুল রাহাত আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় বেশ কয়েকজন উত্থাপন করেছেন। সবাই উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন, শোক জানিয়েছেন।
এ মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর কাছে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কলেজটির সাবেক শিক্ষার্থী ওবায়েদ আহমেদের পক্ষে রবিবার (৩ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ নোটিশটি পাঠিয়েছেন। ক্ষতিপূরণের ১০ কোটি টাকা নিহত আবরার রাহাতের পরিবারকে হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, বৈঠকে আরেকটি প্রসঙ্গে সবাই হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, একজন ছাত্র মারা গেছে অথচ এরপরও অনুষ্ঠান চালিয়ে গেছে আয়োজকরা। সেই ছাত্র মারা যাওয়ার পরও স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে হাসপাতাল থেকে। এছাড়া কারও যদি এভাবে অপমৃত্যু হয়, তাহলে অবশ্যই পোস্টমর্টেম করতে হয়, পোস্টমর্টেম করতে না হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত অনুমোদন বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন লাগে। সেটি না নিয়ে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে কিশোর আলোর এক অনুষ্ঠান চলাকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এই ঘটনায় ওই স্কুলে থাকা জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পের দু’জন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আই.এ/