
জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, সিরিয়ায় তুরস্কের কুর্দিবিরোধী অভিযানের পর গত ১০ দিনে প্রায় ৯৪ হাজার সিরীয় ঘরে ফিরেছে। সংস্থাটির মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র জেন্স লার্কে বলেন, ওই অভিযান শুরুর সময় দুই লক্ষাধিক মানুষ ঘরহারা অবস্থায় ছিল।
জেন্স লার্কে বলেন, ‘এখন আমরা তাদের ফিরে আসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। প্রায় ৯৪ হাজার সিরীয় ঘরে ফিরেছে, যে এলাকাগুলো এখনো কার্যত তুরস্কের নিয়ন্ত্রণাধীন। এখনো এক লাখের অধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে।’ তবে তারাও ঘরে ফেরার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) লার্কে দাবি করেন, তুর্কি অভিযানে ওই অঞ্চলের একাংশ সন্ত্রাসমুক্ত হওয়ায় প্রায় এক লাখ সিরীয় ঘরে ফিরেছে। চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিবিরোধী ‘পিস স্প্রিং অপারেশন’ শুরু করে তুরস্ক। সে সময় অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ইউফ্রেতাসের পূর্ব দিকে প্রবেশ করে।
পরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় অভিযানে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করে তুরস্ক। তখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায়, এ অভিযানে দুই লক্ষাধিক সিরীয় বাস্তস্ত্যুত হয়েছে।
সম্প্রতি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরপর ওই অঞ্চলের কুর্দিদের বিতাড়িত করতে এক সেনা অভিযান চালায় তুরস্ক। ওই সেনা অভিযানের সময় আলেপ্পো ও রাকায় কুর্দিদের হাতে বন্দী বহু আইএস জঙ্গিদের তুরস্কের সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় বলে অভিযোগ করে কুর্দিরা। সেনা অভিযানে বহু আইএস জঙ্গি তুরস্কের সেনাদের হাতে বন্দীও হয়েছে বলে জানায় তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এবার এসব জঙ্গিদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিলো দেশটি। ইয়েনি সাফাক।
আই.এ/