সিলেট সুরমা নদীর ওপর ক্বীন ব্রিজ সিলেটের প্রাণকেন্দ্র বন্দর বাজারের সাথ সংযোগ করেছে। ব্রিজের মুখেই সিলেট সার্কিট হাউজের অবস্থান। সার্কিট হাউজের সামনেই নাদীর পাড় ঘেঁষে পায়ে হাঁটার রাস্তা। এখানেই ব্রিজের নিচের অংশে ময়লা আবর্জনা স্তুপ পড়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। ময়লা পঁচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। মানুষের চলাচলেও কষ্ট হয়। কিন্তু যেন দেখার কেউ নেই। মানুষের চলার পথের দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তি দূর করতে মাঠে নামে ক্লিন সুরমা ও গ্রিণ সিলেট নামে দুটি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। স্বেচ্ছাশ্রমে আবর্জনা পরিস্কার করে দুই সংগঠনের কর্মীরা।

শুক্রবার সন্ধায় স্বেচ্ছাসেবী ওই দুই সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সুমন। সুমন এসময় স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশংসা করেন এবং উৎসাহ উদ্দীপনা দেন। পরামর্শমূলক নানান কথাও বলেন।

তিনি বলেন, আমি নিজেও জানতামন না যে, ‘ক্লিন সুরমা আর গ্রিণ সিলেট’ তোমরা এতো শক্তিশালী। আমি ভাবতাম যে আমিই মনে হয় ভালো কাজ করি, অন্যরা মনে হয় কম করে। কিন্তু আমি যাই করি না কেন তোমাদের চেয়ে বেশি করি না। এই বয়সে তোমরা যা করে দেখালে আমাকে অন্তত ফেল করিয়ে দিয়েছ তোমরা।

এসময় ক্লিন সুরমা ও গ্রিণ সুরমার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদেরকে ৬০০ ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন। সুমন বলেন, আগামী সপ্তাহে মা ও বোনকে দেখতে আমেরিকা যাবো। সেখানে গিয়ে যাতে খরচ করতে পারি সেজন্য ৬০০ ডলার জমা করেছিলাম। কিন্তু তোমাদেরকে দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম আমেরিকা গিয়ে তো চলেই আসবো; এই ৬০০ ডলার তোমাদেরকে দিয়ে দিবো।

এসময় তাদের ঐক্যবদ্ধ কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, একা একা বাঁচতে চাইলে কেউ বাঁচতে পারে না কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে বাঁচতে চাইলে কেউ তাকে মারতে পারে না। তোমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। তোমরা যদি একত্রিত হও, সবাই মিলে মরার প্রস্তুতি নাও তাহলে কেউ মারতে পারবে না।

সুমন বলেন, আমরা যারা রাজনৈতিকে নেতৃত্বে আছি তারা মানুষের সেবা ঠিকমতো দিতে পারি না। সামাজিক নেতা যারা গড়ে উঠতেছে তারা প্রকৃত অর্থে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে সমাজের নেতৃৃত্ব দিবে।

সুমন বলেন, আগে মনে করতো আওয়ামী লীগের লোকজন দুর্নীতি করলে কোনো বিচার হয় না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কয়দিন ধরে যতসব নেতারে বাড়িত পাঠাই দিছে; প্রমাণ করে দিয়েছেন দুর্নীতি করলে আওয়ামী লীগে, সরকারে কোনো টাউট বাটপারে জায়গা নাই।