আইসিসির কাছে সাকিব আল হাসান নিজেই এই সময়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন বলে বোমা ফাটালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। তবে সাকিব কেন নিজের নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন সে বিষয়েও খোলাসা করেছেন আকরাম খান।

আকরাম খান বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি যে, এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, কেন ভারত সিরিজের আগেই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো।

এ বিষয়ে আকরাম খান জানান, ‘আকসু সাকিবকে বলেছে, এখন যদি শাস্তির ঘোষণা না আসে, তাহলে আরও কিছুদিন পরে হলেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে’। সে হিসেবে ভারত সিরিজের মাঝামাঝিতে এই ঘোষণা আসতো। যা দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতো। আর সাকিব তা চায়নি। এছাড়াও যদি শাস্তির ঘোষণা আরও পরে আসে তবে সাকিবের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে না। তাই সে এখন নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। এর ফলে বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা হলেও থাকবে।

প্রসঙ্গত, জুয়ারির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা ফিরিয়ে দেয়া সত্তেও গোপন করার দায়ে প্রথমে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু)। পরে ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করায় এবং নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দেওয়ার শর্তেেএক বছরের শাস্তি স্থগিত করে আসিসি। তবে এই সময়ের মধ্যে ফের অপরাধে জড়ালে শাস্তি জারি হবে।

সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ২৯ অক্টোবর থেকে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর শুরু হবে ১৭ অক্টোবর। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

এর মাঝে প্রথম রাউন্ডের খেলা চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৪ই অক্টোবর থেকে শুরু হবে সুপার-১২ পর্ব বা মূল আসর। অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব খেলতে পারবেন সাকিব।

/এসএস