
আজ ১ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে সড়ক পরিবহন আইন। এক বছর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে গতি বাড়িয়ে আইনটি পাসের পর নানা দিক বিশ্লেষণের কারণে আইনটি বাস্তবায়নে সময় নিয়েছে সরকার। এ আইন কার্যকরে প্রথমদিন থেকেই তৎপর থাকবে ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ও জরিমানাসহ কিছু বিষয় কার্যকর করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। এসব করার জন্য সফটওয়্যার হালনাগাদ করাসহ কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও সড়ক পরিবহন আইনের মামলার ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জরিমানা কিছুটা কমিয়ে নির্ধারণ করেছে বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়ক আইন কার্যকরে এরইমধ্যে দেশের সব ট্রাফিক ইউনিটগুলোতে এবং সার্জেন্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মামলা পস মেশিনে করা হয়। সেই মেশিনটিতে জরিমানার টাকাসহ আরও কিছু বিষয় নির্ধারিত থাকে।সেগুলো আপডেট করে তারপর ট্রাফিক পুলিশ নতুন আইনে জরিমানা করবে।
এটি না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মেই সব চলবে। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে জরিমানা ও শাস্তির কথা বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সেটা কমিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে জরিমানার পরিমান ধার্য করেছে। যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান ও গণপরিবহন চালালে ছয় মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।
এমন অপরাধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ প্রথমবার ৫ হাজার টাকা ও পরেরবার একই অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানার কথা উল্লেখ করে ট্রাফিক সার্জেন্টদের চিঠি দিয়েছে। একইভাবে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া মোটরযান চালালে আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।
এক্ষেত্রে ডিএমপি প্রথমবার ১০ হাজার ও দ্বিতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রে তিন মাস কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হলেও ডিএমপি সেটা কমিয়ে প্রথমবার এক হাজার ও পরেরবার দুই হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছে।
আইএ/