রংপুরের পীরগাছায় বিয়ের ৩৬ দিনের মাথায় যৌতুকের জন্য নববধূকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া শাহজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ অক্টোবর) শাহজাদা মিয়াকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানা পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে শাহজাদা মিয়ার সাথে গত ২০ সেপ্টেম্বর পাশবর্তী তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া (সরদারপাড়া) গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। এসময় ফজলুল হক নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার মেয়ে জামাইকে দেন। মেয়ের বিয়ের মেহেদীর রং মুছতে না মুছতেই জামাতা শাহজাদা মিয়া আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং নববধূকে নির্যাতন করতে থাকে।
এরই এক পর্যায়ে গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় যৌতুক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া সৃষ্টি হলে স্বামী শাহজাদা মিয়া নববধূ শিউলি বেগমকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। এসময় শাহাজাদা মিয়ার স্বজনরা যোগ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নববধূর হাত পায়ের রগ কেটে দেন। এরপর দু’দিন ধরে বাড়িতে ওই নববধূকে আটকে রাখার পর গত রোববার সকালে পীরগাছা থানা পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় পীরগাছা থানায় মামলা হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আল হাদী মোহাম্মদ জানান, মেয়েটির অবস্থা আশংকাজনক। হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করায় সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, আমি খবর পেয়ে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এঘটনায় মেয়ের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
আই.এ/