ফেনীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ২ হাজার ৩২৭ পাতার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ) রায়ের কপি ফেনীর আদালত থেকে উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে রায়ের কপি লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের আদালত থেকে তা হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মো. শামছুদ্দীন পুলিশ পাহারায় ডেথ রেফারেন্সের কপিটি নিয়ে যান।
ফেনী জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠানোর হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন ও অ্যাডভোকেট মানিক শর্মা বলেন, দায়রা আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের কাছে কার্যক্রম পেশ করতে হবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করার কোনো বিধান নেই। তাই ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোটের আফিল বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলা (৫৭), নূর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি (১৯), আবদুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।
/এসএস