
বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছে সকাল থেকেই। আর এখনও পর্যন্ত হওয়া ফলাফল অনুসারে হরিয়ানাতে বিজেপিকে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার মুখে ফেলেছে কংগ্রেস। ফলাফল বলছে রাজ্যে একার ক্ষমতায় আসতে পারছে না পদ্ম শিবির। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কলকাতা নিউজ এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
হরিয়ানাতে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় হরিয়ানার বিজেপি প্রধান সুভাষ বরালাকে দলের তরফ থেকে পদত্যাগ করতে জানানো হয়েছে। তার নির্বাচনী কেন্দ্র তোহানা থেকে জেজেপি নেতা দুশন্ত সিং চৌতালা এগিয়ে রয়েছেন। আর যে কারনেই ঘুম উড়েছে পদ্ম শিবিরের।
হরিয়ানাতে নির্বাচনী ফল ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি প্রেসিডেন্ট এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী খট্টার সহ রাজ্য বিজেপির রথী মহারথীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। যদিও বিজেপি এই রাজ্যতে এগিয়ে রয়েছে তবে তা সত্ত্বেও বিজেপির ঘারে নিঃশ্বাস ফেলছে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত হওয়া গণনা অনুসারে বিজেপি থেকে মাত্র ১০ টি সিট পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। আর তা নিয়েই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গেরুয়া শিবিরে।
অন্যদিকে, এই অবস্থায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। জে পি নাড্ডাকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
জরুরি এই বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহার লাল খাট্টাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মূলত হরিয়ানাতে কেন বিজেপির এই অবস্থা হল তা নিয়েই মূলত আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। শুধু তাই নয়, আগামীদিনে সেই রাজ্যে বিজেপির রণকৌশল কি হবে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রাজ্য়ের ৯০টি আসনের মধ্যে ৩৬টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, আর ৩২টিতে কংগ্রেস। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে কিং মেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছে জননায়ক জনতা পার্টি। তারা এগিয়ে ১১টি আসনে। হরিয়ানায় বিজেপির লক্ষ্য ছিল ৭৫ আসনে জয়। শেষ পর্যন্ত সংখ্যায় কিছু অদলবদল ঘটলেও লক্ষ্যের যে ধারেকাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না, তা এখনই স্পষ্ট।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস