স্বামীর সংসার ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রেমিক ও তার বন্ধুদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নড়াইলের এক গৃহবধূ। শ্যামনগর উপজেলার এক সন্তানের জনক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই গৃহবধূর।
প্রেমিক সাইফুলকে বিয়ে করার আশায় নড়াইলের থেকে চলে আসেন শ্যামনগরে প্রেমিক সাইফুলের কাছে চলে আসেন ওই গৃহবধূ। পরে শ্যামনগর আসার পর সাইফুল ও তার এক বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে গৃহবধূকে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহবধূর বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায়। অন্যদিকে, সাইফুল ইসলামের বাড়ি (২৪) সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট ভেটখালি গ্রামের বক্কার চৌকিদারের ছেলে।
জানা গেছে, মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাইফুল ও ওই গৃহবধূর। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গৃহবধূকে গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শ্যামনগরে নিয়ে আসেন সাইফুল ইসলাম। পরে তার এক বন্ধুর বাড়িতে রাখেন তাকে। সেখানে রেখে দুইদিন ধর্ষণ করে সাইফুল ও তার বন্ধু মেহেদী।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সরদার মোবাইলে গৃহবধূর পরিবারের সাথে কথা বলেন। এসময় গৃহবধূর স্বামী জানান, আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না। শিশু সন্তানটি তার মাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সরদার জানান, ছন্দার পরিবারের সদস্যরা না এলে এর থেকে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না।
অন্যদিকে, ‘মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য সেলিনা সাঈদ জানান, অচেতন অবস্থায় ভিকটিমকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্যামনগর আসবেন বলে জানিয়েছেন’।
এদিকে, প্রতারক প্রেমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মোবাইলের মাধ্যমে তাকে শ্যামনগরে ডেকেছিলাম। তাকে নিয়ে আমার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে রাত্রীযাপন করেছি। এটুকু বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি’।
এ ঘটনায় শ্যামনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
/এসএস