
বেসিক ব্যাংক দুর্নীতির মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দুদক চেয়ারম্যান পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ সোমবার হাইকোর্টে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি একথা বলেন। এসময় বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংক দুর্নীতির মামলার চার্যশিট শিগগিরই দেয়া হবে। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর পদত্যাগ একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গ, ৯ বছর সময় নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত চালিয়েও রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার কোনোটিতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আবদুল হাই বাচ্চু। আর তখনই ব্যাংকটির দিলকুশা, গুলশান ও শান্তিনগর শাখা থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
যাচাই না করে জামানত ছাড়া জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়াসহ নিয়ম না মেনে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে তখনকার পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ২০১০ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালে রাজধানীর তিনটি থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে কমিশন। সেসব মামলার আসামির তালিকায় ২৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা থাকলেও বাচ্চু বা পরিচালনা পর্ষদের কাউকে সেখানে না রাখায় প্রশ্ন ওঠে সে সময়।
এরপর বিভিন্ন মহলের সমালোচনা এবং উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে পাঁচ দফা বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
/এসএস