
আমেরিকার খ্যাতিমান লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্যাকেভিন ব্যারেট বলেন, সৌদি আরবের সামরিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমেরিকা রিয়াদের কাছে আরও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করছে যা কোনো কাজই করছে না। ইরানের প্রেস টিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।
গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ঘোষণা করেছে যে, তারা সৌদি আরবে আরও তিন হাজার সেনা, কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ব্যাটারি এবং দুই স্কোয়াড্রন জঙ্গিবিমান পাঠাবে।
মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, গতমাসে ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন সমর্থিত সেনারা সৌদি আরবের আরামকো স্থাপনার উপর যে ড্রোন হামলা চালিয়েছে সে ধরনের হামলা যাতে আর না ঘটে সেজন্য তারা এই সেনা ও অস্ত্র পাঠাচ্ছে।
এ সম্পর্কে কেভিন ব্যারেট বলেন, সৌদি আরব খুবই দুর্বল সামরিক সক্ষমতার একটি দেশ এবং এরই সুযোগ নিচ্ছে মার্কিন সরকার। দেশটির কাছে নানা ধরনের অস্ত্র বিক্রি করে রিয়াদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে আমেরিকা এবং এরই অংশ হিসেবে নতুন করে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানো হচ্ছে যা কোনো কাজই করে না।
কেভিন ব্যারেট বলেন, মার্কিন সরকারের অস্ত্র সরবরাহের এই উদ্যোগ সৌদি আরবের সামরিক বাহিনীর জন্য তেমন কোনো ইতিবাচক কিছু বয়ে আনবে না। তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইম্পিচমেন্ট সমস্যা মোকাবেলার জন্য খুবই ব্যস্ত রয়েছেন এ কারণে তার পক্ষে সৌদি আরবের হয়ে ইয়েমেন যুদ্ধ মোকাবেলা করার কোন সময় নেই। বরং এই মুহূর্তে মার্কিন সামরিক শিল্পে তাদের মূল্যবান অর্থ ঢালা বন্ধ করাই হবে সৌদি আরবের জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আমেরিকা থেকে পাঠানো প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি এবং চারটি সেন্টিনাল রাডার ব্যবস্থা সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে দেশটির বেশিরভাগ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইয়েমেন সীমান্তের কাছে মোতায়ন রয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের হুতি আন্দোলন সম্পর্কিত সেনারা সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আরামকো স্থাপনায় অন্তত দশটি ড্রোনের সাহায্যে ব্যাপক হামলা চালায়। এ হামলায় সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের অর্ধেক বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস