
ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ এসছে একদিনেই। সোমবার একদিনেই টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে ৫৩৬ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে। এর আগে একসঙ্গে বাংলদেশে এতো পেঁয়াজ ঢুকেনি।
টেকনাফ ছাড়াও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ঢুকছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। রবিবার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কন্টেইনারে দুটি চালানে ঢুকেছে ১৭৪ টন। একইসঙ্গে বন্দর দিয়ে ঢুকেছে মিশর থেকে আসা ১৪৫ টন পেঁয়াজ।
চালানটির আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ মারকো ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার আকরামুল হক ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমার ও মিশর থেকে মোট ১১টি কন্টেইনার পেঁয়াজ গতকাল জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে নেমেছে। এরমধ্যে ৪ কন্টেইনার আজ (সোমবার) রাতেই বন্দর থেকে সরবরাহ করা হয়েছে, বাকিগুলো মঙ্গলবার সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, ১১ কন্টেইনারে মোট ৩১৯ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে বন্দরে। দেশ দুটি থেকে আরো পেঁয়াজ আসছে।
টেকনাফ কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ কান্তি বড়ুয়া বলেন, ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে সোমবার একদিনেই টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ ৫৩৬ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে। আজ বন্দরে ৫টি কাঠের জাহাজে এই পেঁয়াজ আসে; দিনে দিনেই আমরা সেগুলো ছাড়ের কাজ সম্পন্ন করি।
তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে পুরো আগস্ট মাসে ৮৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। আর ভারতে দাম বেড়ে যাওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড পরিমান পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৫৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ভারতে রপ্তানি মূল্য বাড়ার পর স্থলবন্দরে এখন শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ। রপ্তানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজ আমদানি আরও বেড়ে যাবে।
খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যান সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান বাদশা বলছেন, মিয়ানমারের আটটি ট্রাক সকালে ঢুকেছে কিন্তু কাড়াকাড়ি করে মুহূর্তেই বিক্রি শেষ। কারণ আমাদের প্রয়োজন ৩শ ট্রাক বিপরিতে এসেছে মাত্র আটটি ট্রাক। সুতরাং বাজারে কেউ কেজি ৯০ টাকা আবার কেউ ১১০ টাকাও বিক্রি করেছেন।
তিনি পরামর্শ দেন, সরকারের উচিত আতঙ্ক সৃষ্টি না করে আসল ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহিত করা। তারা যদি আমদানি না করে অলস বসে থাকেন তাতে বাজারে সংকট আরও ঘণিভূত হবে। এটাতে বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে।
/এসএস