সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের  দেহরক্ষী আবদুল আজিজ আল ফাঘামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ‘লোহিত সাগরের তীরের শহর জেদ্দায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে’ বলে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক টুইটবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল আল ফাঘাম ছিলেন বাদশাহ সালমানের খুবই বিশ্বস্ত দেহরক্ষী। গতকাল জেদ্দায় তার বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ফাঘাম। সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে বলা হলেও হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারেন সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।

সৌদি টেলিভিশনের টুইটবার্তায় আরও জানানো হয়, ‘দুই পবিত্র মসজিদের খাদেমের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ আল ফাঘাম।’ এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য আসেনি। তবে এক সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ আল ফাঘামকে হত্যা করা হয়েছে।

আরব আমিরাতের প্রভাবশালী দৈনিক খালিজ টাইমস জানিয়েছে, শনিবার জেদ্দায় বন্ধুর বাড়িতে আল ফাঘামের সঙ্গে মামদুদ আল আলী নামে এক ব্যক্তি বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মামদুদ তার একজন ভাড়াতে খুনিকে নিয়ে আসেন। সে ব্যক্তি মামদুদের নির্দেশে আল ফাঘামকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

খালিজ টাইমস আরও জানায়, মামদুদ আল আলীকে মক্কার নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতার করতে গেলে আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। একপর্যায়ে মামদুদ আল আলীও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস