
জাতিসংঘে কাশ্মীরের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখায় ইমরান খানকে বীরোচিত সংবর্ধনা দিতে পাকিস্তানে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে রোববার দেশে ফিরছেন তিনি। এ উপলক্ষ্যে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও তেহরিকে ইনসাফের নেতারা ভীড় করেছেন। বিমানবন্দরের বাইরেও ইমরান খানকে সংবর্ধনা জানাতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়।
রোববার জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এ কথা বলেন তিনি। সেখানে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন নির্যাতিত কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোকে জিহাদ। বিশ্বের কেউ পাশে থাকুক বা না থাকুক আমরা কাশ্মীরিদের পাশে থাকব। খবর দ্য ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন উর্দূর।
বিমানবন্দরে আগত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরিদের ওপর জুলুম চলছে। এই মুহূর্তে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোটা জিহাদ। আমরা কাশ্মীরিদের পাশে রয়েছি, কারণ আমরা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা পাশে থাকবেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।
ধৈর্যের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, লড়াই চলাকালীন বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমাদের হতাশ হলে চলবে না। কাশ্মীরের মাজলুম জনগণ আমাদের দিকে চেয়ে রয়েছে, এ অবস্থায় তাদের জন্য আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মানবিক সংকট ও সেখানকার নাগরিকদের অবরুদ্ধ জীবনযাপনের বিষয়টি জাতিসংঘে উপস্থাপন করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মানবিক সংকট ও সেখানকার নাগরিকদের অবরুদ্ধ জীবনযাপনের বিষয়টি জাতিসংঘে উপস্থাপন করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেয়া পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়কের বক্তব্যকে অনেকেই অবিস্মরণীয় বলছেন।
এর আগে নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বহনকারী বিমানের জরুরি অবতরণ করে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস