রাবি প্রতিনিধি: রাত দেড়টার সময় ‘চোখ তুলে নিবো’ বলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে হুমকি এবং ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মরত সাংবাদিককে তুই-তোকারি করে অনবরত থ্রেট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাবি ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাকিতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আশিকের রুমে গিয়ে এই হুমকি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হুমকিদাতারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হাশেম ও উপ গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হক।
ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী আশিক বলেন, ‘বিষয়টি ইতিমধ্যেই আমি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছে। সাংবাদিক ও আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ আবার চোখ তুলে নেয়ার হুমকি প্রদানের আমি সুষ্টু বিচার চায়।’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হলের প্রথম ব্লকের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিক তার রুমে ঘুমাচ্ছিলেন। হটাৎ রুমে নক করার শব্দ শুনে তিনি রুম খুলে দিলে দুইজন রুমে ঢুকে। তার ঘুমন্ত রুমমেট কবে হল থেকে যাবে এটা জিংগাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, আমি তো জানি না। ওনি তো এখন ঘুমাচ্ছেন। আপনারা পরে এসে জেনে নিয়েন। এমতাবস্থায় তারা আশিককে বলে ‘পরে আসব মানে তুই চোখ নামিয়ে কথা বল, তোর চোখ তুলে নেব।’ পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে এক সাংবাদিক কী হয়েছে বিষয়টি জানতে চাইলে, তুই-তোকারি করে অনবরত থ্রেট দিতে থাকেন তাকে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দি ডেইলি স্টারের সাংবাদিক আরাফাত বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতে চাইলে, ‘ছাত্রলীগ নেতা হাশেম আমাকে উদ্দেশ্য করে বাজে ভাবে তুই তোকারি করে কথা বলা শুরু করে। আমি কেন ওখানে গেছি, বলে পাল্টা প্রশ্ন করে। এক পর্যায়ে সে ‘‘তোকে দেখে নেবো’’, ‘‘যা করার করে নিস পারলে’’ বলে, মারতেও উদ্যত হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত অন্যান্য আবাসিক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।’
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমি বিষয়টি ইতিমধ্যেই শুনেছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমি এই বিষয়ে অবগত হয়েছি। ছাত্রলীগের নামে এধরনের কাজ আমরা কখনোই সমর্থন করিনা। আমি অতিদ্রুত এটার তদন্ত বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলছি।’