শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধামন্ত্রী। জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীর ইস্যুতে একেবারে চুপচাপ থাকলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছিলেন সোচ্চার ভুমিকায়। ইমরান কান নিজের বক্তব্যে মোদির প্রতি জোরালো আক্রমণ করেন।
এসময় ইমরান খান বলেন, দুটি শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে যে কোন কিছু ঘটতে পারে। এটি কোন হুমকি নয়, এটি যথার্থ উদ্বেগ। একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যদি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যায় তাহলে তার ফলাফল সমগ্র বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এমন এক দেশে বাস করি যেটি বিশ্বকে যুদ্ধ নয় বরং বুদ্ধের শান্তির বার্তা দিচ্ছে। আজকেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশটির পক্ষ থেকে একই রকম সৌন্দর্য ও শান্তির বার্তা দিতে চাই। এ সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মোদি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, মোদি তার ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গে কোন কথাই বলেননি; কিন্তু ইমরান খানের বক্তৃতার মূল ফোকাসই ছিলো কাশ্মীর ইস্যু। ইমরান খান তার বক্তৃতায় বলেন, ভারত কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নিলে সেখানে রক্তের বন্যা বইয়ে যেতে পারে। সেখানে ৯০ হাজার ভারতীয় সৈন্য রয়েছে। এই সৈন্যরা তো আর কাশ্মিরের উন্নয়নের জন্য সেখানে যায়নি, নরেন্দ্র মোদি যেটা দাবি করছেন।
এত বিশাল সংখ্যক সৈন্যরা কী করবে? সেখানে রক্তের বন্যা বইয়ে যেতে পারে। কাশ্মীর বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্তকে ‘বোকামি’ ও ‘নৃশংস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ইমরান বলেন, যখন কারফিউ তুলে নেয়া হবে তখন সেখানে কী ঘটবে? তিনি কি মনে করেছেন কাশ্মীরের জনগন তার ষড়যন্ত্র মেনে নেবে?
গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। এরপর থেকে অঞ্চলটিকে অচল করে রাখা হয়। জারি করা হয় কারফিউ। গ্রেফতার করা হয় হাজারো নেতা কর্মীকে। শুরু থেকেই বিষয়টির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার পাকিস্তান। তাই ইমরান খান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া বক্তৃতায়ও বিষয়টি তুলে ধরেছেন। নরেন্দ্র মোদি তার বক্তৃতায় ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে’ ভারতের ভূমিকা তুলে ধরেন।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস