
হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে গত কাল কার্যত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ সাজাতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। তার বিনিময়ে কাশ্মীর-সহ নানা ক্ষেত্রে মার্কিন সাহায্য পাওয়া যাবে বলে আশা করেছিল দিল্লি। কিন্তু আজ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পরে ফের কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প। এই নিয়ে তৃতীয় বার। এবং আরও এক বার অস্বস্তিতে ফেললেন ভারতকে। ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেন রদ করার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জে এসে গোড়া থেকেই নানা মঞ্চে কাশ্মীর নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন ইমরান।
গত কাল ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মোদি যে ভাবে কাশ্মীর নিয়ে সুর চড়িয়েছেন, সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছেন, তাতে ইমরান আর বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না বলেই দাবি করছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। কিন্তু আজ ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের উপরে ভরসা করি। আমি চাই কাশ্মীরে সকলে ভাল থাকুন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। ওরা দু’জনেই যদি বলেন যে আমাদের একটা সমস্যা দূর করার আছে, তা হলে আমি সেটা করতে পারি।’
একই সঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, ‘আমি খুবই ভাল মধ্যস্থতাকারী।’ এর আগে ইমরানের পাশে বসে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে মোদীই তাকে মধ্যস্থ হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারত তার প্রতিবাদ করে জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। গোড়ায় নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেও পরে মধ্যস্থ হতে চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। হিউস্টনের মঞ্চে সন্ত্রাস প্রশ্নে নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন মোদি ।
ট্রাম্প বলেন, ‘কাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শুনলাম। সেটা আশা করিনি।’ তবে একই সঙ্গে তার মন্তব্য ‘ওই কথা শুনে ৫০ হাজার মানুষ খুশি হলেন।’ কিন্তু মোদি তো জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন? ট্রাম্পের জবাব, ‘আমি ইরানকেই বেশি ইঙ্গিত করেছি।’
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

