
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিকে (৫৬) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দূবৃর্ত্তরা। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার মাথায় ও পেটে কুপিয়ে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির জানান, ঘটনার আগে শফিকুল ইসলাম শফি রেলবাজার এলাকার একটি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হন। তিনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একদল অস্ত্রধারী অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। কারা এবং কেন এ হামলা করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলামের মাথায় ও শরীরে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান, শফিকুল ইসলাম শফি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। কে বা কারা তার উপর হামলা করলো তা আমরা এখনো জানতে পারিনি। হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে ধারণা দিতে পারছেন না নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা এ্যাডভোকেট শফি। দেখে মনে হয়েছে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে কোপাচ্ছে। তবে চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগেরও দুটি গ্রুপ রয়েছে। কোন গ্রুপের ছেলেরা তাকে কুপিয়েছ তা চেনা যায়নি। তবে আহত শফি হাসপাতালে পুলিশকে হামলাকারীদের সম্পর্কে জানিয়েছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিকে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুর নেতৃত্বে আজ রোববার শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। মিছিল শেষে হামলাকারীদের আটক করতে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
/এসএস