
আকাশ পথে চলাচলের সময় সরকারি কর্মকর্তাদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ভ্রমণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিমানে উঠলে গর্বে বুকটা ভরে যায়। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারি কর্মকর্তারা যেখানেই যাবেন, বাংলাদেশ বিমানে চড়তেই হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ১০টি ড্রিমলাইনারের নাম দিয়েছি, সবাই যেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। পণ্য রপ্তানির জন্য দুটি কার্গো বিমান কেনা ও কার্গো ভিলেজ গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। বিশ্বে অনেক দেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবে তাদের মূল্যস্ফীতি বেশি হয়। আমরা প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ধরে রেখেছি। প্রাকৃতিক ও মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগসহ আমাদের অনেক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। এর পরও আমরা দেশে চমৎকার একটা পরিবেশ ধরে রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, তখন (বিএনপির শাসনামল) বিমানগুলো ছিল ঝরঝরা। বর্তমানে সেই অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে রাজধানীতে ঝরঝরা বাস চলত। আমরা এই বাসগুলোকে বলতাম মুড়ির টিন। তখন বিমানের অবস্থা ছিল এই মুড়ির টিনের মতো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিমানের আগের অবস্থা নেই। এখন বিমানে উঠলেই গর্বে বুকটা ভরে যায়। এখন আমাদের যে রিজার্ভ রয়েছে, তা থেকে নিজস্ব অর্থায়নে আরও দুইটি উন্নতমানের বিমান কিনতে পারব। সেই পরিকল্পনাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে বিমান। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও সবশেষ ‘রাজহংস’ আসায় চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ হলো। এর মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির ১০টি উড়োজাহাজের সবই বুঝে পেল বিমান।
বিমানের ১০টি বোয়িংয়ের মধ্যে আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস নামে চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত নামে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী নামে দুটি বোয়িংয়ের ৭৩৭-৮০০ নামও দেন প্রধানমন্ত্রী।
একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে ড্রিমলাইনার। এটি চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানি কম লাগে। অন্য তিনটি ড্রিমলাইনারের মতো রাজহংসের আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪ আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোনকল করার সুবিধাও পাবেন।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস