
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে র্যাব-১০ এর কিছু সদস্যের মারামারি হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। র্যাবের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে স্রেফ ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী বাস ‘উত্তরণ-২’ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে সায়দাবাদ অংশে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, উত্তরণ-২ বাসটি সায়দাবাদ অংশ দিয়ে হানিফ ফ্লাইওভারে পৌঁছানোর পর র্যাব-১০ এর একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ- ৫৩২২৩৭) ফ্লাইওভারে ওঠার মুখ বন্ধ করে আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শুভ র্যাবের গাড়িটি সরাতে বললে বাহিনীর কয়েকজন সদস্য নেমে তাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় অন্য শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নেমে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। এরপর বাকি শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নেমে সড়ক অবরোধ করলে র্যাবের গাড়িটি ফ্লাইওভারের ওপর উঠে চলে যায়।
এ মারধরে আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শুভ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের রবিউল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্দশ ব্যাচের সুলাইমান, বাংলা বিভাগের ত্রয়োদশ ব্যাচের আল-আমিন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্দশ ব্যাচের তাওসীব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক কায়উম উজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওটা আমাদের একটা অভিযানের গাড়ি ছিল। সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শহিদুল ইসলাম মুন্সি গাড়িটির দায়িত্বে ছিলেন। আমাদের গাড়িটা গিয়ার পাচ্ছিল না, তাই দাঁড়িয়েছিল। ওখানে মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। র্যাব বুঝতে পারেনি ওরা ছাত্র, আর ছাত্ররাও বুঝতে পারেনি ওটা র্যাবের গাড়ি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘র্যাবের গাড়িটা ওখানে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তারা ক্যাম্পাসে এসে ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস