ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
প্রথমেই সংক্ষেপে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পরিচয় তুলে ধরা যাক। জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ হল ভারতীয় ওলামা সংঘ। ভারতের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ইসলামি সংগঠন। ১৯১৯ সালে মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা হুসাইন আহমেদ মাদানি, মাওলানা আহমেদ সাইদ দেহলভি, মুফতি কিফায়েতুল্লাহ দেহলভি, মুফতি মুহাম্মদ নাইম লুধিয়ানভি, মাওলানা আহমেদ লাহোরি, মাওলানা বশির আহমেদ ভাট্টা, মাওলানা সৈয়দ গুল বাদশা, মাওলানা হিফজুর রেহমান সিউহারভি ও মাওলানা আবদুল বারি ফিরাঙ্গি মেহলি কর্তৃক এটি গঠিত হয়। জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিল। জমিয়ত পুরো ভারতজুড়ে বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানের একটি উর্দু দৈনিক পত্রিকা আল জমিয়ত রয়েছে। জাতীয়তাবাদী দর্শনের পেছনে জমিয়তের ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তাদের মতে ভারতের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকা ভারতীয় মুসলিমদের কর্তব্য।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মাদানি বলেন, ‘কাশ্মীর আমাদের ছিল, আছে এবং থাকবে। আর যেখানে ভারত থাকবে সেখানেই আমরা আছি।’ ভারতসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর উঠে এসেছে। কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলেও মন্তব্য করেছেন জমিয়তের এই নেতা।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মাদানির বক্তব্যে আজ পাঠকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরবো। অনেকেই কমেন্ট করেছেন। অনেক সময় পাবলিক ভয়েসের মেইল এবং পেজের মেসেঞ্জারেও পাঠকরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকেন। কিন্তু মাহমুদ মাদানির বক্তব্য নিয়ে মেইল বা পেজে কোনো মেসেজ আমরা পাইনি। তবে কমেন্টে অনেকেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকে জমিয়তের পক্ষে লিখেছেন অনেকে লিখেছেন বিপক্ষে। আবার কেউ কেউ বলছেন মাহমুদ মাদানির বক্তব্য ব্যাখ্যার দাবি রাখে। অনেক পাঠক মনে করছেন জমিয়তকে আর অনুরস্বরণ করা যাবে না। আজ পাঠকদের করা মন্তব্য থেকে মোট ১০ জনের মন্তব্য তুলে ধরা হলো।
সাব্বির আহমাদ নামের একজন পাঠক লিখেছেন, যদি কথা এমনই হয়ে থাকে, এবং সত্য হয়, তাহলে আপনাদের দেওবন্দের উত্তরসূরি হিসেবে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।
মুহা. নিজামুদ্দিন শিকদার লিখেছেন, একজন ভারতীয় হিসেবে কৌশলী বক্তব্য দিয়েছেন। ওনার বক্তব্যের সূত্রধরে এখন-ই মতামত দেওয়া উচিৎ নয়।
এইচ এম আনোয়ার লিখেছেন, উনি ভারতীয়। ওনার বক্তব্য এমন হবেই। এখানে দোষের কি? কারণ ইন্ডিয়াতে ৩০ কোটি মুসলিম বাস করে, সেটাতো বুঝতে হবে।
মুহা. রোমান সম্রাট লিখেছেন, আচ্ছা কিছুক্ষণের জন্য না হয় মেনে নিলাম, কিন্তু কাশ্মীরে যে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে ভারত সরকার, এর কি কোন সমাধান নেই?
হান্নাস আফনান ঈসা প্রশ্নের সুরে লিখেছেন, কাশ্মীরিদের উপর যে অত্যাচর চলছে। এই বক্তব্যর মাধ্যমে তিনি কি অত্যাচার সমর্থন করছেন!
আব্দুল আওয়াল লিখেছেন, কাশ্মীর যে দেশেরই হোক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবার প্রতিবাদ করতে হবে।
যাকারিয়া মামুন লিখেছেন, দেওবন্দ যুগযুগান্তরে দিল্লির মসনদের সাথে একাট্টা হয়েই চলে আসছে। গাজওয়ায়ে হিন্দেও তারা ভারতের পাশে থাকবে।
মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান লিখেছেন, ধিক্কার জানাই এই মাদাদি নামের কলঙ্ক মাহমুদ মাদানিকে। তারা মুসলমানদের শত্রু।
মো. অলি উল্লাহ নামের এক ব্যক্তির ‘ফিরতি মন্তব্যে’ ছদ্মনামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী (জয়পুরহাট থেকে বলছি) লিখেছেন, শুধু শুধু গালি দিয়ে লাভ নেই। এর ভেতরে কিছু রহস্য আছে। সেই রহস্য যদি শান্তি নিয়ে আসে তাহলে এটাই ভালো।
নোমান বিন ফজলে হক লিখেছেন, হেকমত সব জায়গায় চলে না। মজলুমদের পক্ষে কথা বলতে না পারলে চুপ থাকেন। বিরোধিতা করেন কেন?
আই.এ/পাবলিক ভয়েস