
জাপানে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফাসাই। সোমবার ভোরে তীব্র বেগে ঝড়টি আঘাত হানে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৭ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে এটি উপকূলে আঘাত হানে। তাৎক্ষণিকভাবে ঝড়ের তাণ্ডবে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী টোকিওর কাছেই একাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানী টোকিওর দু’টি বিমানবন্দরে ১৩০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। রেল পরিষেবায়ও বিঘ্ন ঘটে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অন্ধকারে নিমজ্জিত হন ৯ লাখ ১০ হাজার ঘরবাড়ির বাসিন্দারা। জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডেও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদটি।
টোকিওর রাস্তায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারীকে শায়িত অবস্থায় পাওয়া গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস ওই নারীকে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
পরে তিনি একটি ভবনের গায়ে আছড়ে পড়েন। এ পরিস্থিতিতে লোকজনকে বাইরে না বেরুনোর পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঝড়ের তাণ্ডবে কানাগাওয়া নামের একটি শহর পুরোপুরি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। কানাগাওয়া, শিজৌকা ও টোকিওর প্রায় চার লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে জানানো হয়েছিল, শক্তিশালী টাইফুন ‘ফ্যাক্সাই’ ধেয়ে আসছে পূর্ব এশিয়া দেশ জাপানের দিকে। টোকিওসহ দেশটির বিভিন্ন অংশে রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) এবং সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। ‘বায়ুকোণ’ বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘুরে আসতে আসতে ফ্যাক্সাই আরও শক্তিশালী হবে বলে আশঙ্কা করা হয়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় থেকে শক্তিশালী টাইফুনে রূপ নেয়।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস