পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘কাশ্মীর ঘণ্টা’ পালন করছে দেশটির জনগণ। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার জুমার নামাজের আগে বাড়ি, অফিস এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে বাহিরে এসে সবাই কাশ্মীরিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং জনগণ মানববন্ধনে অংশ নেন। সে সময় জম্মু কাশ্মিরের জাতীয় সঙ্গীতও বাজানো হয়।রাজধানী ইসলামাবাদে সরকারি অফিসের সামনে তারা অবস্থান নেন।
দেশজুড়েই ছোট-বড় মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয়রা। কাশ্মির ঘণ্টা উদযাপনে অংশ নেন সিন্ধ গভর্নর ইমরান ইসমাইল, বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান, খাইবার পাখতুন এর মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ কান এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার।
ইমরান খান বলেন, আজ আমরা সব পাকিস্তানিরা, সে শিক্ষার্থী হোক কিংবা শ্রমিত, দোকানি কিংবা পেশাজীবী সবাই আমাদের কাশ্মিরি ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তারা অনেক কঠিন সময় পার করছে। এর আগেই ইমরান খান কাশ্মিরে ভারতের পদক্ষেপের বিরোধিতায় একাত্ম প্রকাশ করে পাকিস্তানিদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চাই কাশ্মিরিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সব পাকিস্তানি একত্রিত হোক। তিনি বলেন, ‘কাশ্মিরিদের আমরা বলতে চাই যে, আমরা তোমাদের পাশে আছি।’
পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে ইমরান বলেন, ‘প্রথমে আমি কাশ্মিরিদের সঙ্গে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আমি নিজেকে কাশ্মিরের দূত হিসেবে ঘোষণা করলাম। যেসব রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে তাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণেও কাশ্মির ইস্যু তুলে ধরব’
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত-পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি সংঘটিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে।গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাশ্মীর সীমান্তে চলছে টানটান উত্তেজনা।একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস