
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসান নিয়ে ফের আলোচনার জন্য বৈঠকে বসতে তৃতীয়পক্ষ হিসাবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে চিন। বাংলাদেশ তাতে সাড়াও দিয়েছে। মিয়ানমার রাজি হলে আলোচনার মাধ্যমে বৈঠকের স্থান-কাল ঠিক করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকার বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফ শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। ঘন্টাব্যাপী ব্রিফিং-এ বিদেশি কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমারের বিভিন্ন অসহযোগিতার তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মায়ানমার তার নাগরিকদের রাজি করাতে পারেনি বলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ভেস্তে গেছে। মায়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক মহলকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মিডিয়া ব্রিফিং এ এক প্রশ্নের উত্তর মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাক্যাম্পে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করার কোনো তথ্য নেই। তবে কোনো এনজিওর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণদিত ও উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের প্রমাণ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেবে সরকার।
জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ফের আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছে চিন। বুধবার এক নোট ভারবালের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের কাছে ওই প্রস্তাব পাঠায় বেইজিং। প্রস্তাব অনুসারে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ও মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন।
বলা হয়েছে, চিনের মধ্যস্থতায় দেশটির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ যেখানে চাইবে চিন সেখানেই ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করবে। এছাড়া চিনের পাঠানো ওই নোট ভারবালে বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা সত্ত্বেও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়াকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আজ প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করছেন ঢাকায় নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সকাল ১১ টায় বৈঠকে বসে প্রায় ঘন্টাব্যাপী আলোচনা করেন তারা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আবারো সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
/এসএস