রাজধানীর গ্রীনরোড এলাকায় সরকারী কর্মচারী কোয়ার্টারের আশপাশে পুরো চিত্রটাই যেন ডেঙ্গুর আবাসস্থল। পুরো এলাকার করুণ অবস্থা তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট আইনজীবি, সমাজকর্মী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলার ইচ্ছা ছিলো না। ‘সরকারীভাবে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সবাই যেভাবে ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলছেন মনে হয় তারা খুব বেশি কাজ করছেন। কিন্তু গ্রীনরোডে আমার পাশে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাচেলর কোয়ার্টারে আইসা যখন দেখি এমন অবস্থা তখন মনে হয়’ মেয়র থেকে শুরুতে করে আপনারা যারা কাজ করছেন এখানে এসে একটু দেখলে ভালো হত’। ব্যারিস্টার সুমন আক্ষেপ করে বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো হাসপাতাল। গ্রীন লাইফ, কম্ফোর্ট হাসপাতালের পেছনে যা অবস্থা তাতে ডেঙ্গু হলে মোটামুটি বাসা বাঁধলে হাসপাতালের সিটে গিয়ে থাকতে হয়’।
ব্যারিস্টার সুমন এসময় ব্যাচেলর কোয়ার্টারের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, এখানে প্রায় ৫৭টি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরের সরকারী কর্মকর্তারা থাকে। এখানকার এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এমপি, সিটি কর্পোরেশন, গিয়েছি চিঠি দিয়েছি, তাদেরকে এনে দেখিয়েছি; তারা বলছেন এটা আমাদের কাজ না। কাজটা কার; সেটা কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কিছু লোক মারা যাওয়ার পর এসে জানাযায় অংশ করবেন তারপরও কি এখানে ঔষুধ দিবেন না’ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি এমন প্রশ্ন তুলে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আপনার আপনাদের অবস্থান পরিস্কার করুন। সুমন বলেন, ‘সরকারী লোকেরাই যখন জানের ভয়ে পালায় তখন আমার মতো সাধারণ লোকের তো বিচার দেওয়ার জায়গা নেই’।
প্রসঙ্গত : সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে হইচই কম হচ্ছে না। যথেষ্ঠ কারণও যে আছে তাও কারো অজনা নয়। ডেঙ্গু মশা, ডেঙ্গু জ্বর রীতিমতো মহামারী আকার ধারণ করেছে। সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুরোগীদের ভিড়ে গিজগিজ অবস্থা। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থেকেও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে। নেয়া হয়েছে ডেঙ্গু নিধনে নানান কর্মসূচি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়সহ রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের মহাব্যস্ততা চোখে পড়ছে ইদানিং। যদিও তা বিভিন্ন চরাই উৎরাই পেরিয়ে নানা সমালোচনার মুখে শুরু হয়েছে এ তৎপরতা। ভেঙেছে কর্তাদের চোখের ঘুম। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তৎপরতা একটু চোখে পড়ার মতোই। উত্তর সিটির বিশেষ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মশক নিধন টিম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকতে না পারা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এতো সর্তকতার পরও খোদ সরকারী কোয়ার্টারেই মিলল রীতিমতো ডেঙ্গু মশার বংশ বিস্তারের বিশাল কারখানা।
লাইভটি দেখুন :
https://www.facebook.com/1474854672729216/videos/698307624016623/