নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর হোসেন বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করা হবে সংশ্লিষ্ট দেশেই। এ জন্য উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড সরবরাহ করতে গতকাল মঙ্গলবার নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সিঙ্গাপুর থেকে প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রম শুরু হবে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। এর আগে ৫১তম কমিশন বৈঠক হয়।

এ সময় প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, এখন কেবল সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমোদন দেওয়ার বাকি। তারা অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করব। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে অনুমতি-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রম সিঙ্গাপুর দিয়ে শুরু কেন তা জানালেন মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের সংখ্যা কম। কাছের দেশ। তাই ওখানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। এরপর আমরা মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যাব। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সৌদি আরবে এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে এসেছেন। সেখানে অবস্থিত প্রবাসী, দূতাবাসের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, আমরা আইন পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থা নেই। আমরা আজকের বৈঠকে নীতিমালা চূড়ান্ত করেছি। এ জন্য আমাদের বিধিমালাও সংশোধন করতে হবে। এটা আমরা শিগগিরই করব।

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সমস্যা দ্রুত সমাধান করার লক্ষ্যে নীতিমালাই কেবল বাকি। অন্যান্য যাবতীয় কার্যক্রম আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, ব্রিটেন, সৌদি আরবে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে।

অনেক দিন ধরেই দেশের বাহিরে থাকা বাংলাদেশিরা জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভুগছেন। তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার পর প্রবাসেই দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ নেয় ইসি।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস