ভারতের অর্থনীতিতে যে মন্দা যাচ্ছে তা অনেক কিছুতেই এখন দৃশ্যমান। আর এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে মুদ্রার দরে। যার ফলে ভারতীয় মুদ্রা রুপির রেকর্ড দরপতন ঘটেছে।
টাকা দরপতনের ফলে গত তিন যুগের মধ্যে বর্তমান সময়ে এসে রুপিকে ধরে ফেলার উপক্রম করেছে টাকা। ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৮৬ রুপি। যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, ডলারের বিপরীতে ভারতীয় টাকার দাম ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সেই তুলনায় এশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি মুদ্রা ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। ৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাকা এবং রুপির দর প্রায় সমান ছিল। তারপর দিনদিন পড়তে থাকে বাংলাদেশি টাকার দাম।
গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার মূল্যের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৪ পয়সা। বাংলাদেশের ১০০ টাকা দিলেই বদলে মিলছে ভারতের ৮৬ রুপি। যা ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সর্বনিম্ন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্ট থেকে ভারতীয় মুদ্রার অবনতি শুরু হয়েছে। পতন এতটাই বেশি যে বাংলাদেশি টাকা আর ভারতীয় মুদ্রার পার্থক্য এখন মাত্র ১৪ পয়সা।
গতকাল সোমবার দিনের শুরুতেই ডলারপ্রতি ভারতীয় রুপির দাম ৪২ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৭২.০৮। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নিম্নমুখী প্রবণতাও বজায় থাকে। শেয়ার বাজারের কারবার শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই টাকার দামে আরও পতন ঘটে। ৫৯ পয়সা কমে গিয়ে এক সময় ১ ডলারের দাম হয় ৭২.২৫ টাকা।
এদিকে ভারতের রুপির মূল্য কমে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সীমান্ত এলাকায় এক ধরনের খুশির আমেজ ছড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ ভারতের বড় বড় শহরের শপিং মলে বাংলাদেশিদের কেনাকাটাও বেড়েছে।
দরপতনের কারণে অনেকেই টাকা দিয়ে রুপি কিনে রাখছে। পর্যটনসহ বিভিন্ন কারণে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিরাও বাড়তি সুবিধা ভোগ করছে। একই কারণে আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বেড়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ঢাকার বাসিন্দারের মধ্যে ভারতীয় মুদ্রা জমানোর প্রবণতা দেখা গেছে। সস্তায় ভারতীয় মুদ্রা জমিয়ে পরবর্তীকালে কাজে লাগাতে চাইছেন তারা।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস