
ব্যাপক মতানৈক্যের কারণে বড় ধরনের অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো নিয়ে গঠিত সংস্থা- দ্য গ্রুপ সেভেনের (জি-৭) ৪৫তম শীর্ষ সম্মেলন। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এবারই প্রথম সম্মেলন শেষ হয়েছে, যেখানে বিশ্বনেতাদের পক্ষে যৌথ কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সোমবার (২৬ আগস্ট) ফ্রান্সের দ্বীপশহর বিয়ারিজে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের ইতি টানা হয়।
এর আগে শনিবার ( ২৪ আগস্ট) এ সম্মেলন শুরু হয়। বিশ্ব বাণিজ্য ও ইরান ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব নেতাদের আলোচনায় স্থান পায় ইউক্রেন, লিবিয়া, হংকং, জলবায়ু ও ব্রেক্সিট ইস্যু। এছাড়া জি-৭ এ রাশিয়ার ফের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবও আলোচনায় আনেন বিশ্বনেতাদের কেউ কেউ। এবারের বৈঠকে গত রোববার (২৫ আগস্ট) আকস্মিক উপস্থিত হয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ সবাইকে চমকে দেন।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, তেহরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের ভেস্তে যাওয়া পরমাণু চুক্তি এবং এ অবস্থায় ইউরোপের করণীয় নিয়ে সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে সম্মেলনে উপস্থিত হন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বৈঠক শেষে বাণিজ্য বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে কমিউনিকউ বা যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে বৈঠক শুরুর পরদিন রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে- এটি নিশ্চিত করার ব্যাপারে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে।
সোমবার G7 শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।কাশ্মীরসহ পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও ইস্যুতে তৃতীয়পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত মাসে কাশ্মীরের বিশেষাধিকার প্রত্যাহারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান। তখনই কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথমবার মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস