
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বার ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, শান্তি স্থাপনে ভারত এক পা এগোলে, চার পা এগোব। কিন্তু আলোচনায় বসতেই রাজি হয়নি ভারত। সবকিছুর জন্য শুধু পাকিস্তানকে দায়ী করে গিয়েছে। সন্ত্রাসে মদত জোগানোর অভিযোগ তুলেছে। আজ সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন ইমরান খান। খবর পাকিস্তানি গণমাধ্যমের।
ভাষণে ইমরান খান বলেন, ভারতে উগ্র হিন্দুপন্থী নামে পরিচিত সংগঠন আরএসএস এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভুলের কারণে কাশ্মীরিরা স্বাধীনতার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যা এখন আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নয়। এটি এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে পেরেছি; এটাই বড় সাফল্য। আমরা এটা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে পেরেছি; এটাই আমাদের সফলতা।
ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাশ্মীরের এক ইঞ্চিও ছাড়তে রাজি নয়। আমরা কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ব। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, এই অঞ্চলটিতে যদি কোনো সময় পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যায়, তাহলে কেউই জয়লাভ করবে না। এই যুদ্ধের ফলে ভোগ করবে সারা বিশ্ব। তাই এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করবে।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর অধিকৃত কাশ্মীরে ২৩ দিনের কারফিউ অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টিভি সম্প্রচার স্থগিত রয়েছে। মিডিয়াগুলোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। পেশা প্রশাসন টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থগিতকরণ, অবিরাম কারফিউ এবং মারাত্মক বিধিনিষেধের ফলে দুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং শিশুদের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। খাবারের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের জীবনে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকের জীবনই এখন হুমকির মুখে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস