
বর্ষা শুরুর পর রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় পূর্ণ বয়স্ক এইডিস মশা এবং লার্ভার ঘনত্ব দুটোই বেড়ে যাওয়ার চিত্র এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জরিপে। এ বছরের মার্চে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় প্রথম জরিপটি করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় জরিপটি চালানো হয় গত ১৭ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত। বিজি সেন্টিনাল ট্র্যাপ-২ পদ্ধতিতে চালানো এই জরিপে দেখা যায়, পূর্ণবয়স্ক মশার সংখ্যা গত মার্চের তুলনায় বেড়েছে সাড়ে ১৩ গুণ। আর মশার লার্ভার ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার চেয়েও সাড়ে ১২ গুণ বেশি বেড়েছে। এই বছর বর্ষার শুরুতেই এইডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
পূর্ণবয়স্ক মশার উপস্থিতি জরিপে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪১টি ‘বিজি সেন্টিনাল ট্র্যাপ-২’ বসানো হয়। বিজি সেন্টিনাল ট্র্যাপ-২ পূর্ণবয়স্ক মশা ধরার আধুনিক পদ্ধতি বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরের জরিপে এসব ফাঁদে ৪৮৭টি পূর্ণ বয়স্ক এইডিস মশা ধরা পড়ে। এর আগে গত ৩ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত চালানো প্রাক বর্ষা মৌসুম জরিপে এইডিস মশা পাওয়া গিয়েছিল ৩৬টি। সে হিসেবে এইডিস মশা বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫২ গুণ।
এবছর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে ৩৪ হাজার ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও ৮ হাজার ৭৬৫ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ রোগে ২৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করলেও বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যে মৃতের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়েছে। এবার মার্চের জরিপের প ডেঙ্গুর প্রকোপের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; কিন্তু তাতে গুরুত্ব দিয়ে এইডিস মশা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে রোগটি এখন মহামারির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস