
শ্রীনগর থেকে মেরেকেটে ১০০ কিলোমিটার দূরে এই ছবিও কাশ্মীরের। নীলম নদীর ধারে এই উপত্যকা পাক অধিকৃত কাশ্মীর, নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পারে। ভারতের ৩৭০-এর ধাক্কা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পড়েছে এ পারের উপত্যকাতেও। নিয়ন্ত্রণরেখার দু’পারেই বাড়ছে সেনা-আধাসেনার আনাগোনা।বাড়ছে সমরাস্ত্রবাহী গাড়ির চলাফেরা। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পারদ যত বাড়ছে, ততই আতঙ্ক বাড়ছে নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পারেও। ভারত সরকারের ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত অনিশ্চয়তার ছাপ ফেলেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও।
নীলম উপত্যকার বাসিন্দা প্রৌঢ়া খুরশিদা বেগম। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘দলে দলে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।” নাবালক চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে বিধবা খুরশিদা অনিশ্চয়তার দিন গুনছেন। খুরশিদার মতোই নীলম উপত্যকার বাসিন্দা সফিক বাট। ছোটখাটো ব্যবসা। তিনি এএফপি-র প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ‘আমার ভাই থাকেন শ্রীনগরে। গত তিন দিন তার কোনও খোঁজ পাইনি। কোনও যোগাযোগ হয়নি।’ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে সফিকের মতো আরও অনেকের যাদের আত্মীয়রা রয়েছেন নিয়ন্ত্রণ রেখার ও পারে। অর্থাৎ ভারতীয় ভূ-খণ্ডে।
সংবাদ সংস্থাকে ওই এলাকার ডেপুটি কমিশনার রাজা শহিদ মেহমুদ বলেন, ‘এ বছর গোটা উপত্যকায় এক জনও পর্যটক নেই।এ রকম অবস্থা এর আগে কখনও হয়নি।’ স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী রাজা আকিলের গলাতেও আশঙ্কা। তিনি বলেন, ‘অশান্তির আশঙ্কায় মাঝে মধ্যে মন্দা যায়। তবে এ রকম জনশূন্য অবস্থা কোনও বার হয়নি। অন্য বার কিছু দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কিন্তু এ বার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।’
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস