
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় ভারতের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু সাতসকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ একান্তে আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর কাশ্মীর বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয় বলে জানা গেছে।
কাশ্মীরে সেনা তথা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত পাকিস্তানে মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে চলছে। কাশ্মীরে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মোদি সরকার। গতকালই জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে আবার কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি জরুরি বৈঠক করেছে।
ভারতের মন্ত্রীদের বলা হয় সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হবে বৈঠক। সেইমতো মন্ত্রীরাও আসেন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। কিন্তু, ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। একান্তে তিনি দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে। প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে সরকারের নম্বর ১ ও নম্বর ২-এর মধ্যে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরই নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদি।
এই বৈঠকটি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুই বৈঠকেই কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য। যদিও, উপত্যকা নিয়ে সরকার ঠিক কী পদক্ষেপ করছে তা আন্দাজ করাও অসম্ভব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আজই সংসদে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেবেন অমিত শাহ।
আসলে, অকস্মাৎ অমরনাথ যাত্রা বাতিল এবং কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সেনা কর্মী মোতায়েন করা, সবশেষে গতরাতে উপত্যকার তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গৃহবন্দি করা এবং শ্রীনগর জুড়ে মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা। মোদি সরকারের একের পর এক কার্যকলাপ কাশ্মীরে কোনও বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অথচ, সরকার ঠিক কী চাইছে সে সম্পর্কে কারও কাছে কোনও তথ্য নেই।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস