
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম, এক দিকে সমুদ্র, আরেক দিকে শয়তান, যাবে কোথায়? দেশে ঠিক সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সবার ভরসার জায়গা উচ্চতর আদালত। সেই আদালতে যে রায় দেন দেশনেত্রীর জামিনের ব্যাপারে; তাতে পুরো জাতি হতবাক হয়েছে।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, আমাদের আশ্রয়ের জায়গা নেই, আমরা কোথায় যাব? রাস্তায় দাঁড়ালে ছাত্রলীগ-যুবলীগ, গলিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ অবস্থায় আমাদের যাওয়ার জায়গা কোথায়?
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখন দেশে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নেওয়ার কোনো জায়গা নেই। বিচার বিভাগকে করায়াত্ত করা হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দিয়ে প্রশাসন সাজানো হয়েছে, নানাভাবেই সরকার এদের ঢোকাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কি বাকশাল? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কি একদলীয় শাসন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কি এক ব্যক্তির শাসন?
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলার খবর নেই। সবাই বলছে, যেন ডেঙ্গু না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার স্ত্রীকে নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। নিজেরা বাঁচবেন, ডেঙ্গুতে জনগণ মরুক, বন্যায় ভেসে যাক, কোনো পরোয়া নেই প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের। কারণ তারা তো দিনের আলোয় ভোটে নির্বাচিত নয়, তাদের রাতের অন্ধকারের নির্বাচনে জিততে হয়। এই ধরনের সরকারের জনগণের প্রতি দায়িত্ব থাকবে কেন?
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে কাকরাইলে নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসে।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস