
বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের নওয়াদাগায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতরে নাম খুশিলা বেগম (১৯)। তিনি ওই গ্রামের সিঙ্গাপুর ফেরত ফারুক হোসেনের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে , স্বামী ও সতিন মিলে খুশিলাকে শ্বাসেেরাধে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
খুশিলার চাচা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন জানান, নওদাগার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফারুক হোসেন সিঙ্গাপুর থাকার পর দেশে ফিরে খুশিলার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার স্ত্রী সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন করে গত ৭ মাস আগে ফারুক তাকে বিয়ে করে। এরপর ফারুকের স্ত্রী ও তিন সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করে খুশিলা। এমনকি তাকে তালাক দেয়ার জন্য বলে। এসময় ফারুক তাকে বুঝিয়ে সংসারে রাখে। কিন্তু খুশিলা সেখানে সংসার করতে নারাজ ছিলো বরাবরই। এরই মধ্যে ফারুক হোসেন খুশিলাকে তালাক না দিয়ে উল্টো শ্বশুর দাউদ হোসেন, চাচ শ্বশুর জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে মিথ্যা ডাকাতি মামলা দেয়। মামলা নিষ্পতির কথা বলে খুশিলাকে তার সংসার করতে বাধ্য করে। প্রায় তাকে নির্যাতন করা হতো বলে তাদের ফোনে জানাতো। একপ্রকার অতিষ্ট হয়ে ফারুকের বিরুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতনের মামলা করার হুমকি দেয় সে। এরপর থেকে ফারুক ও তার প্রথম স্ত্রী শারমিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
জামাল উদ্দিনের অভিযোগ, এরই জেরে বুধবার রাতের যে কোন সময় স্বামী ও সতিন মিলে খুশিলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। পরে ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে দুইতলা ঘরের জানালার গ্রিলের সাথে গামছা পেছিয়ে মৃতদেহ ঝুঁলিয়ে রাখে। সকালে তারা প্রচার করে খুশিলা গলায় ফাঁসে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে পিতা পক্ষের লোকজন আসে। মৃত্যু নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করলে কৌশলে ফারুকসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জাামান জানান, খবর শুনে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে খুশিলা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
/এসএস