সম্পাদকীয়: পারলো না বিএনপি। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে গণধর্ষণের শিকার চার সন্তানের জননীর পাশে দাঁড়াতে পারেনি এখনও বিএনপি'র কেউ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পারুল বেগমকে দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে। এটুকুই।

ভোট হয়ে গেছে আজ এক সপ্তাহ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিএনপি'র কোনো নেতাকর্মী পারুল বেগমকে দেখতে যায়নি। আর সেই সুযোগটাই গ্রহণ করেছে ধর্ষকদের দলীয় লিডার নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। গণধর্ষণের শিকার পারুলের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়, পরিবারের পুনর্বাসন ও সকল আইনী সহায়তার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পারুলের সঙ্গে দেখা করে একরামুলের পক্ষে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।

এ সময় প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন। তিনি বলেন, ‘এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছি।

পারুল বেগমের সমস্ত দায় দায়িত্ব নিলেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা! অথচ দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল বিএনপির এবং তা প্রথম দিন থেকেই।

---

এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিএনপি সে দায়িত্ববোধ দেখাতে পারেনি। পারুল ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরিতাপের বিষয় হলো, ধানের শীষের কোনো নেতাকর্মী পারুল বেগমের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যে ঘটনাটিতে সারাদেশের মানুষ মর্মাহত, ঠিক তেমনিভাবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে বিএনপির কেউ পারুলের পাশে না দাঁড়ানোয়ও মর্মাহত।

---

বিএনপি কি আসলে বোঝে না! নাকি তাদের কৌশলের দুর্বলতা রয়েছে? যেই দলের নেতাকর্মীরা দলবেঁধে গণধর্ষণ করল, সেই দলের নেতা পারুল বেগমের দায়িত্ব নিলো! তাহলে বিএনপির ভূমিকা কী? ধানের শীষে কোন ভরসায় ভোট দিবে মানুষ? এই একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি দলের জন্য পজিটিভ অনেক কিছু আদায় করতে পারতো। কিন্তু তারা ব্যর্থ।

বিএনপি কি এভাবেই পিছিয়ে থাকবে? বিএনপির উচিত আগে কৌশল ঠিক করা। এমন কৌশল নয় যে কৌশলটাই তাদের পিছিয়ে দেয়। কথিত আছে বিএনপি সবসময় একধাপ পিছিয়ে থাকে। বিএনপির সকল নেতাকর্মী সঠিক নেতৃত্বে এগিয়ে আসুক সেই শুভকামনা থাকলো।